ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ হওয়া বাংলাদেশি কূটনীতিক ফয়সাল যুক্তরাজ্যে আটক

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৩:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫৩০ বার পড়া হয়েছে

 

মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসে অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক সমস্যা সৃষ্টি এবং সহকর্মীদের সঙ্গে অসংগত আচরণের অভিযোগে রাশিয়ায় ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ হওয়া বাংলাদেশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স–সিডিএ) মো. ফয়সাল আহমেদকে যুক্তরাজ্য থেকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।

 

বার্মিংহামে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে আটক করা হয় বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

 

চলতি বছরের মে মাসে মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ফয়সাল আহমেদকে স্ট্যান্ড রিলিজ দিয়ে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তিনি দেশে ফেরেননি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের ধারণা, রাশিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে গিয়ে তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন।

 

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, যুক্তরাজ্যে ফয়সাল আহমেদকে আটকের বিষয়টি তাদের জানা নেই।

 

তবে ফয়সাল আহমেদকে স্ট্যান্ড রিলিজের পর দ্রুত ঢাকায় ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি দেশে ফেরেননি বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

 

গত ২২ মে ফয়সাল আহমেদের একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। ওই পোস্টে তিনি পররাষ্ট্র সচিব নিয়োগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেন, যা কূটনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি করে।

 

তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হযবরল সেগুনবাগিচায় কে পররাষ্ট্রসচিব হবেন, নিশ্চিত নয়। একজন অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়ামকে ১০ জন সচিবকে ডিঙিয়ে কেন তড়িঘড়ি করে পররাষ্ট্র সচিব করা হচ্ছে বোধগম্য নয়। আসাদ আলম সিয়াম শেখ হাসিনার লয়ালিস্ট হিসেবে তিন বছর চিফ অব প্রটোকল ছিলেন। আওয়ামী লীগের ইন্টারেস্ট সার্ভ করার জন্যই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আসাদ আলম সিয়ামকে নির্বাচনকালীন পররাষ্ট্রসচিব করতে চান।’

এর পরপরই তাকে রাশিয়া থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে, যা তার আচরণ নিয়ে আরও প্রশ্ন তৈরি করে।

 

সূত্র জানায়, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে পারিবারিক নির্যাতন, কমিউনিটিকে ভয়ভীতি দেখানো এবং অস্থির আচরণের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের পুলিশ তাকে আটক করেছে। এর আগে গত সপ্তাহেও তাকে একবার আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন কমিশনের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন ২ প্রার্থী

‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ হওয়া বাংলাদেশি কূটনীতিক ফয়সাল যুক্তরাজ্যে আটক

আপডেট সময় ০৩:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

 

মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসে অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক সমস্যা সৃষ্টি এবং সহকর্মীদের সঙ্গে অসংগত আচরণের অভিযোগে রাশিয়ায় ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ হওয়া বাংলাদেশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স–সিডিএ) মো. ফয়সাল আহমেদকে যুক্তরাজ্য থেকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।

 

বার্মিংহামে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে আটক করা হয় বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

 

চলতি বছরের মে মাসে মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ফয়সাল আহমেদকে স্ট্যান্ড রিলিজ দিয়ে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তিনি দেশে ফেরেননি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের ধারণা, রাশিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে গিয়ে তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন।

 

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, যুক্তরাজ্যে ফয়সাল আহমেদকে আটকের বিষয়টি তাদের জানা নেই।

 

তবে ফয়সাল আহমেদকে স্ট্যান্ড রিলিজের পর দ্রুত ঢাকায় ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি দেশে ফেরেননি বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

 

গত ২২ মে ফয়সাল আহমেদের একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। ওই পোস্টে তিনি পররাষ্ট্র সচিব নিয়োগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেন, যা কূটনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি করে।

 

তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হযবরল সেগুনবাগিচায় কে পররাষ্ট্রসচিব হবেন, নিশ্চিত নয়। একজন অতিরিক্ত সচিব আসাদ আলম সিয়ামকে ১০ জন সচিবকে ডিঙিয়ে কেন তড়িঘড়ি করে পররাষ্ট্র সচিব করা হচ্ছে বোধগম্য নয়। আসাদ আলম সিয়াম শেখ হাসিনার লয়ালিস্ট হিসেবে তিন বছর চিফ অব প্রটোকল ছিলেন। আওয়ামী লীগের ইন্টারেস্ট সার্ভ করার জন্যই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আসাদ আলম সিয়ামকে নির্বাচনকালীন পররাষ্ট্রসচিব করতে চান।’

এর পরপরই তাকে রাশিয়া থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে, যা তার আচরণ নিয়ে আরও প্রশ্ন তৈরি করে।

 

সূত্র জানায়, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে পারিবারিক নির্যাতন, কমিউনিটিকে ভয়ভীতি দেখানো এবং অস্থির আচরণের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের পুলিশ তাকে আটক করেছে। এর আগে গত সপ্তাহেও তাকে একবার আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।