ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে রেকর্ড সমাগম করবে বিএনপি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৫১৩ বার পড়া হয়েছে

 

আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটেই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে রেকর্ড লোকসমাগম করতে চায় বিএনপি। দলটি জানায়, ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর প্রায় ১২ টার সময় অবতরণ করবেন তারেক রহমান। সেখান থেকে সড়কপথে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাড়িবহরে সরাসরি যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে যেখানে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন তার মা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তার চারপাশের এলাকা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপি গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এছাড়া তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে নেতাকর্মীদের ঢাকায় আসার সুবিধার্থে ৭টি ট্রেন রিজার্ভের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা আজকে অভ্যর্থনা টিমের সদস্যরা এখানে (হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) এসেছি যেখানে আমাদের নেতা অবতরণ করবেন সেই জায়গা থেকে কোথায় বসবেন এবং গাড়িতে উঠবেন এবং যেসব সড়ক দিয়ে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন এবং এরপর বাসায় যাবেন সেগুলো আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোপ করে সমন্বয় করছি।। দীর্ঘ ১৭ বছরের কষ্টের নির্বাসিত জীবন শেষে আমাদের নেতা ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা ফিরবেন।

বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত কমার্শিয়াল ফ্লাইটেই উনি আসবেন। সেটার ল্যান্ডিং টাইমটা ১১টা ৫৫ মিনিট হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১২টাই বলতে পারি।

তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানানো এবং তার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে থেকে সহযোগিতা পাচ্ছেন বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ যিনি তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক। তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে গত কয়েকদিন ধরে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানদের সাথে দলের গঠিত নিরাপত্তার টিমের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সদস্যরা বৈঠক করে কাজের সমন্বয় করছেন বলেও জানান তিনি। বিমানবন্দরে কথা বলার সময় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নিরাপত্তা টিমের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা অরসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলামসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

২৪ ডিসেম্বর থেকেই ঢাকায় আসবেন নেতাকর্মীরা:

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানাতে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা আসবে। আমরা সারাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিচ্ছি কীভাবে তারা ২৪ তারিখ রাতের মধ্যে অথবা ২৫ তারিখ সকালের মধ্যে তারা ঢাকায় আসবেন? এরমধ্যে সারাদেশে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছরের কষ্টের নির্বাসিত জীবন শেষে এদেশের গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ, আমাদের আগামীর বাংলাদেশের যিনি নেতৃত্ব দেবেন, গণতন্ত্র অবমুক্ত করতে যিনি ফ্যাসিবাদ বিরোধী সুদীর্ঘ ১৭ বছর উনি নেতৃত্ব দিয়েছেন ইনশাআল্লাহ সেই নেতাকে একনজর দেখার জন্য সারাদেশ থেকে লোকজন আসবেন।

 

রেকর্ড জনসমাগমের প্রত্যাশা:

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা চাই, বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাসে যা কিছু দৃষ্টান্ত বা রেকর্ড হয়েছে তাকে ছাড়িয়ে যায় এবং আগামী ৫৫ বছরের ইতিহাসেও যেন এরকম কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা না হয় সেরকম একটা স্মরণীয় করে রাখার জন্যই আমাদের সমস্ত আয়োজন হচ্ছে। এই দিনটির জন্য বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করছে। আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যথা সময়ে গণমাধ্যমকে সবকিছুই জানানো হবে বলে জানান তিনি।

সংবর্ধনা স্থল কোথায় হবে সে প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এটা এখনো ঠিক হয়নি। আমরা জায়গাগুলো দেখছি। দেশের জনগণ তাকে একনজর দেখার জন্য উদগ্রীব ও উন্মুখ হয়ে আছে এবং তার দুইটা কথা শুনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। সেজন্য আমরা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি সেটা কোন জায়গায় হলে ভালো হয়। সবাই যাতে আসতে পারে, দেখতে পারে এবং জনদুর্ভোগ যাতে না হয়। সব কিছু বিবেচনায় রেখে আমরা জায়গাগুলো পরিদর্শন করছি। যথা সময়ে আপনারা জানতে পারবেন।

 

কমিটি কাজ করছে পুরোদমে:

তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপি গঠিত কমিটির সদস্য সচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে আমাদের অভ্যর্থনা কমিটি কাজ করছে পুরোদমে। কাজের অনেক দূর অগ্রগতি হয়েছে। সেদিন মানুষের যে উপস্থিতি যেটা হবে সেটা হবে ঐতিহাসিক নি:সন্দেহে। ইতিহাসের স্মরণীয় জনসমাগম নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এই কমিটি (অভ্যর্থনা কমিটি) সদস্যরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন, কাজ করে যাচ্ছেন।

 

৭টি ট্রেন চায় বিএনপি :

এদিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের ঢাকায় আসার সুবিধার্থে বিশেষ ট্রেন ও বগি রিজার্ভ চেয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার রেল মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানানো কমিটির সদস্য সচিব রুহুল কবির রিজভী। চিঠিতে বলা হয়েছে- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন। তাকে সম্বর্ধনা জানানোর জন্য সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা ঢাকায় আগমন করবেন। তাদের আগমনের সুবিধার্থে বিএনপির পক্ষ থেকে ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতের বিভিন্ন রুটে রেলগাড়ি রিজার্ভ করতে ইচ্ছুক। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভাড়া পরিশোধ করা হবে।

 

চিঠিতে কক্সবাজার-ঢাকা, সিলেট-ঢাকা, জামালপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকা, টাঙ্গাইল-ঢাকা, চাঁপাইনব্বাগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা, পঞ্চগড়-নীলফামারী-পার্বতীপুর-ঢাকা ও কুড়িগ্রাম-রংপুর-ঢাকা রুটের জন্য ১টি করে স্পেশাল ট্রেন/ অতিরিক্ত বগি রিজার্ভ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

এর আগে ঢাকার শাহবাগে ৩ আগস্ট ছাত্র সমাবেশে অংশ নিতে প্রায় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম ছাত্রদল ২০ বগির এই বিশেষ ট্রেন ভাড়া করে। ওই কর্মসূচিতে অংশ নিতে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ২০ বগির একটি বিশেষ ট্রেনের জন্য আবেদন করা হয়। ছাত্রদলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ রেলওয়ে। তারও আগে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করেছিল জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম থেকে আটটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করে দলটি। ওই ট্রেনগুলো ভাড়া করতে দলটিকে গুনতে হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ টাকা।

এছাড়া তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিএনপির গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সহায়ক ভূমিকার জন্য সমমনা সংগঠন জিয়া পরিষদ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জিয়া পরিষদের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ২০ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটি গঠন করেছে জিয়া পরিষদ। বৃহস্পতিবার জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। কমিটির নেতারা হলেন- অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন-আহবায়ক, এম জহির আলী-যুগ্ম আহবায়ক, আবদুল্লাহিল মাসুদ-সদস্য সচিব। সদস্যরা হলেন- ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আলম, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, খন্দকার শফিকুল হাসান রতন, কৃষিবিদ মনোয়ারুল ইসলাম এনাম, মো. আকতারুজ্জামান গিয়াস, ইঞ্জিনিয়ার শরিফুজ্জামান শরিফ, মুহাম্মদ নূরনবী খান, ডা. মোহাম্মদ আলী, মো. রবিউল ইসলাম, ড. মো. রোকনুজ্জামান, অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বিপ্লব, অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশীদ, মো. হুমায়ুন কবির, মো. শাহজাহান খান রবি, মো. আতাউল করিম আজীম, গিয়াস উদ্দিন, শেখ মো. আব্দুল কুদ্দুস।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘হাদির খুনিদের ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত ভারতীয় হাইকমিশন বন্ধ থাকবে’: সারজিস

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে রেকর্ড সমাগম করবে বিএনপি

আপডেট সময় ০৯:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

 

আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটেই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে রেকর্ড লোকসমাগম করতে চায় বিএনপি। দলটি জানায়, ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর প্রায় ১২ টার সময় অবতরণ করবেন তারেক রহমান। সেখান থেকে সড়কপথে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাড়িবহরে সরাসরি যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে যেখানে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন তার মা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তার চারপাশের এলাকা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপি গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এছাড়া তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে নেতাকর্মীদের ঢাকায় আসার সুবিধার্থে ৭টি ট্রেন রিজার্ভের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা আজকে অভ্যর্থনা টিমের সদস্যরা এখানে (হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) এসেছি যেখানে আমাদের নেতা অবতরণ করবেন সেই জায়গা থেকে কোথায় বসবেন এবং গাড়িতে উঠবেন এবং যেসব সড়ক দিয়ে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন এবং এরপর বাসায় যাবেন সেগুলো আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোপ করে সমন্বয় করছি।। দীর্ঘ ১৭ বছরের কষ্টের নির্বাসিত জীবন শেষে আমাদের নেতা ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা ফিরবেন।

বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত কমার্শিয়াল ফ্লাইটেই উনি আসবেন। সেটার ল্যান্ডিং টাইমটা ১১টা ৫৫ মিনিট হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১২টাই বলতে পারি।

তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানানো এবং তার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে থেকে সহযোগিতা পাচ্ছেন বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ যিনি তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক। তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে গত কয়েকদিন ধরে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানদের সাথে দলের গঠিত নিরাপত্তার টিমের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সদস্যরা বৈঠক করে কাজের সমন্বয় করছেন বলেও জানান তিনি। বিমানবন্দরে কথা বলার সময় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নিরাপত্তা টিমের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা অরসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলামসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

২৪ ডিসেম্বর থেকেই ঢাকায় আসবেন নেতাকর্মীরা:

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানাতে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা আসবে। আমরা সারাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিচ্ছি কীভাবে তারা ২৪ তারিখ রাতের মধ্যে অথবা ২৫ তারিখ সকালের মধ্যে তারা ঢাকায় আসবেন? এরমধ্যে সারাদেশে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছরের কষ্টের নির্বাসিত জীবন শেষে এদেশের গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ, আমাদের আগামীর বাংলাদেশের যিনি নেতৃত্ব দেবেন, গণতন্ত্র অবমুক্ত করতে যিনি ফ্যাসিবাদ বিরোধী সুদীর্ঘ ১৭ বছর উনি নেতৃত্ব দিয়েছেন ইনশাআল্লাহ সেই নেতাকে একনজর দেখার জন্য সারাদেশ থেকে লোকজন আসবেন।

 

রেকর্ড জনসমাগমের প্রত্যাশা:

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা চাই, বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাসে যা কিছু দৃষ্টান্ত বা রেকর্ড হয়েছে তাকে ছাড়িয়ে যায় এবং আগামী ৫৫ বছরের ইতিহাসেও যেন এরকম কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা না হয় সেরকম একটা স্মরণীয় করে রাখার জন্যই আমাদের সমস্ত আয়োজন হচ্ছে। এই দিনটির জন্য বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করছে। আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যথা সময়ে গণমাধ্যমকে সবকিছুই জানানো হবে বলে জানান তিনি।

সংবর্ধনা স্থল কোথায় হবে সে প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এটা এখনো ঠিক হয়নি। আমরা জায়গাগুলো দেখছি। দেশের জনগণ তাকে একনজর দেখার জন্য উদগ্রীব ও উন্মুখ হয়ে আছে এবং তার দুইটা কথা শুনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। সেজন্য আমরা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি সেটা কোন জায়গায় হলে ভালো হয়। সবাই যাতে আসতে পারে, দেখতে পারে এবং জনদুর্ভোগ যাতে না হয়। সব কিছু বিবেচনায় রেখে আমরা জায়গাগুলো পরিদর্শন করছি। যথা সময়ে আপনারা জানতে পারবেন।

 

কমিটি কাজ করছে পুরোদমে:

তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপি গঠিত কমিটির সদস্য সচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে আমাদের অভ্যর্থনা কমিটি কাজ করছে পুরোদমে। কাজের অনেক দূর অগ্রগতি হয়েছে। সেদিন মানুষের যে উপস্থিতি যেটা হবে সেটা হবে ঐতিহাসিক নি:সন্দেহে। ইতিহাসের স্মরণীয় জনসমাগম নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এই কমিটি (অভ্যর্থনা কমিটি) সদস্যরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন, কাজ করে যাচ্ছেন।

 

৭টি ট্রেন চায় বিএনপি :

এদিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের ঢাকায় আসার সুবিধার্থে বিশেষ ট্রেন ও বগি রিজার্ভ চেয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার রেল মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানানো কমিটির সদস্য সচিব রুহুল কবির রিজভী। চিঠিতে বলা হয়েছে- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন। তাকে সম্বর্ধনা জানানোর জন্য সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা ঢাকায় আগমন করবেন। তাদের আগমনের সুবিধার্থে বিএনপির পক্ষ থেকে ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতের বিভিন্ন রুটে রেলগাড়ি রিজার্ভ করতে ইচ্ছুক। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভাড়া পরিশোধ করা হবে।

 

চিঠিতে কক্সবাজার-ঢাকা, সিলেট-ঢাকা, জামালপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকা, টাঙ্গাইল-ঢাকা, চাঁপাইনব্বাগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা, পঞ্চগড়-নীলফামারী-পার্বতীপুর-ঢাকা ও কুড়িগ্রাম-রংপুর-ঢাকা রুটের জন্য ১টি করে স্পেশাল ট্রেন/ অতিরিক্ত বগি রিজার্ভ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

এর আগে ঢাকার শাহবাগে ৩ আগস্ট ছাত্র সমাবেশে অংশ নিতে প্রায় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম ছাত্রদল ২০ বগির এই বিশেষ ট্রেন ভাড়া করে। ওই কর্মসূচিতে অংশ নিতে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ২০ বগির একটি বিশেষ ট্রেনের জন্য আবেদন করা হয়। ছাত্রদলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ রেলওয়ে। তারও আগে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করেছিল জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম থেকে আটটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করে দলটি। ওই ট্রেনগুলো ভাড়া করতে দলটিকে গুনতে হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ টাকা।

এছাড়া তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিএনপির গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সহায়ক ভূমিকার জন্য সমমনা সংগঠন জিয়া পরিষদ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জিয়া পরিষদের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ২০ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটি গঠন করেছে জিয়া পরিষদ। বৃহস্পতিবার জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। কমিটির নেতারা হলেন- অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন-আহবায়ক, এম জহির আলী-যুগ্ম আহবায়ক, আবদুল্লাহিল মাসুদ-সদস্য সচিব। সদস্যরা হলেন- ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আলম, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, খন্দকার শফিকুল হাসান রতন, কৃষিবিদ মনোয়ারুল ইসলাম এনাম, মো. আকতারুজ্জামান গিয়াস, ইঞ্জিনিয়ার শরিফুজ্জামান শরিফ, মুহাম্মদ নূরনবী খান, ডা. মোহাম্মদ আলী, মো. রবিউল ইসলাম, ড. মো. রোকনুজ্জামান, অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বিপ্লব, অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশীদ, মো. হুমায়ুন কবির, মো. শাহজাহান খান রবি, মো. আতাউল করিম আজীম, গিয়াস উদ্দিন, শেখ মো. আব্দুল কুদ্দুস।