পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা আজ বুধবার (৮ জিলহজ) থেকে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আগত হজযাত্রীরা ‘তাঁবুর শহর’ নামে পরিচিত মিনায় পৌঁছাতে শুরু করেছেন। আরব নিউজের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল থেকেই প্রায় ১৫ লাখ হজযাত্রী বিস্তৃত তাঁবু নগরীতে অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
হজের পরবর্তী ধাপে, ৯ জিলহজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে মুসল্লিরা মিনা থেকে সৌদি আরবের ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানে রওনা হবেন। সেদিনই সেখানে অনুষ্ঠিত হবে হজের খুতবা, যা মসজিদে নামিরা থেকে প্রচারিত হবে এবং বাংলাসহ ২০টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে। এবারের খুতবা প্রদান করবেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ।
হজযাত্রীরা ইতোমধ্যেই মঙ্গলবার রাত থেকে মক্কা থেকে এহরাম বেঁধে মিনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। আজ জোহরের আগেই সবাইকে মিনার নির্ধারিত তাঁবুতে অবস্থান গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে আরাফাত, মুজদালিফা ও জামারাতে হজের পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন তারা, যা ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত চলবে।
সৌদি গেজেট জানায়, মিনার তাঁবু শহর বর্তমানে ঝলমল করছে। সেখানে আগুন প্রতিরোধী আধুনিক তাঁবুগুলোর মধ্য দিয়ে হজযাত্রীদের নিরাপত্তা ও আরাম নিশ্চিত করা হয়েছে। শহরটি ২৬ লাখের বেশি হজযাত্রীর ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। মিনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে উন্নত সড়ক, সেতু ও টানেলের বিশাল নেটওয়ার্ক যা হজযাত্রীদের মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফার মধ্যে চলাচলকে সহজতর করে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির মতে, মিনার বিশাল রাস্তা ও পরিবহন ব্যবস্থার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি বাহিনী এবং পদাতিক দল জামারাতে পাথর নিক্ষেপ অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে মক্কা থেকে বাংলাদেশ হজ অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, ২০২৫ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭,১৫৭ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ১৭ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন নারী।
সোমবার রাতে মক্কার কনফারেন্স কক্ষে বাংলাদেশ হজ প্রতিনিধি দলের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সভায় হজযাত্রীদের যাতায়াত, আবাসন, খাবার ও চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিকসহ প্রশাসনিক ও চিকিৎসক দলের নেতা এবং হজ এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।