পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার সময় অসাবধানতার কারণে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এই আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহতদের বেশিরভাগই জেলা সদরসহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছেন। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ আহতই ধারালো ছুরি, দা কিংবা চাপাতি ব্যবহারে অদক্ষ ছিলেন। ফলে হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে আশার কথা, কারো অবস্থাই গুরুতর নয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন ফুলবাড়িয়া এলাকার পাবেল মিয়া (২৭), ঘাটুরার সেলিম (৪৫), চাঁনপুরের আরস মিয়া (২৬), জহিরুল হক (৫০), মো. মিলন (২৩), আজিজুল (২১), শাকিব (২৮), জীবন (৪০), সুমন (২৬), রামরাইলের আলামিন (২৩), আক্কাস (৪৫), উবায়দুল (৩৩), ইউবিন (২২), রহমত আলী (৫৫), সুলতানপুরের আবু সুফিয়ান (১৫), সাদেক (১৮) সহ অনেকেই।
আহত আবু সুফিয়ান জানান, “পায়ের নিচে রাখা মাংস কাটছিলাম, অসাবধানতাবশত ছুরির কোপ সরাসরি পায়ে পড়ে যায়। পরে হাসপাতালে এসে সেলাই করাতে হয়।” অন্যদিকে, চাঁনপুরের রিকশাচালক আরস মিয়া বলেন, “মাংস কাটার সময় হঠাৎ হাত ফসকে ছুরি লেগে যায়। এতে হাতে তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শুভ্র রায় বলেন, “ঈদের সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন রোগী এসেছেন। প্রায় সবাই কোরবানির পশু কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। তাদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কারো অবস্থা গুরুতর নয়।”