ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের খুশিতে নেই আপনজন, শান্তি নিবাসে চোখের জলে নিঃসঙ্গ বাবা-মা”

বৃদ্ধাশ্রমে আছে ঈদের সামান্য আয়োজন, কিন্তু নেই প্রিয়জনের ভালোবাসা। আর তাই চোখের জলে নিঃসঙ্গ ঈদ কাটছে সেখানকার অসহায় বাবা-মার। শান্তি নিবাসের চার দেয়ালের মাঝে প্রিয় সন্তানের মুখখানি একটিবার দেখার অপেক্ষায় কাটছে ঈদের দিনগুলো। অতীতের সুখস্মৃতি আঁকড়ে ধরে নীরব কান্নায় ডুবে আছেন তারা।

ঈদুল আজহার দিনেও সন্তানরা কেউ খোঁজ নেয়নি। অথচ একদিন যাদের জন্য জীবনের সবকিছু বিসর্জন দিয়েছিলেন, আজ তারাই যেন ভুলে গেছে তাদের অস্তিত্ব। ফরিদপুরের শান্তি নিবাসে বাস করা এসব বৃদ্ধ মা-বাবা সন্তানের প্রতি ক্ষোভ লুকিয়ে রেখে, এখনো তাদের ভালো রাখার দোয়া করছেন।

শান্তি নিবাসে রয়েছেন ষাটোর্ধ্ব বকুল বেগম। অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছেন, নিজে খেতেও পারেন না। সৎ সন্তানের অবহেলায় ঠাঁই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে। এক সময় আদর-যত্ন করলেও, সৎ মায়ের কপালে জুটেছে একাকীত্ব আর অবহেলা। কেউ তার খোঁজ নেয় না এখন।

আরও রয়েছেন লতিফ শিকদার, বয়স ৬০ বছর। এক বছর ধরে আছেন শান্তি নিবাসে। নড়াইলের এই বৃদ্ধ একসময় দর্জির কাজ করে সন্তানদের বড় করেছেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্তানরা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও পরে আর খবর রাখেনি। এখন কথা বলতে পারেন না তিনি, তবে সন্তানদের নাম শুনলেই তার মুখ অন্ধকার হয়ে যায়।

এই বৃদ্ধ বাবা-মার চাওয়া খুব বেশি নয়—একটু খোঁজ, একটু ভালোবাসা। অথচ ঈদের দিনও সেই সামান্য চাওয়াটুকুও মেলেনি। শান্তি নিবাসে কাটছে নিঃসঙ্গ আর বিষণ্ন ঈদ।

জনপ্রিয় সংবাদ

নেতাকর্মীরা পালিয়ে এদিক-সেদিক, ভারতে ছেলেকে নিয়ে ঈদ উদযাপন শেখ হাসিনার

ঈদের খুশিতে নেই আপনজন, শান্তি নিবাসে চোখের জলে নিঃসঙ্গ বাবা-মা”

আপডেট সময় ১২:০১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

বৃদ্ধাশ্রমে আছে ঈদের সামান্য আয়োজন, কিন্তু নেই প্রিয়জনের ভালোবাসা। আর তাই চোখের জলে নিঃসঙ্গ ঈদ কাটছে সেখানকার অসহায় বাবা-মার। শান্তি নিবাসের চার দেয়ালের মাঝে প্রিয় সন্তানের মুখখানি একটিবার দেখার অপেক্ষায় কাটছে ঈদের দিনগুলো। অতীতের সুখস্মৃতি আঁকড়ে ধরে নীরব কান্নায় ডুবে আছেন তারা।

ঈদুল আজহার দিনেও সন্তানরা কেউ খোঁজ নেয়নি। অথচ একদিন যাদের জন্য জীবনের সবকিছু বিসর্জন দিয়েছিলেন, আজ তারাই যেন ভুলে গেছে তাদের অস্তিত্ব। ফরিদপুরের শান্তি নিবাসে বাস করা এসব বৃদ্ধ মা-বাবা সন্তানের প্রতি ক্ষোভ লুকিয়ে রেখে, এখনো তাদের ভালো রাখার দোয়া করছেন।

শান্তি নিবাসে রয়েছেন ষাটোর্ধ্ব বকুল বেগম। অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছেন, নিজে খেতেও পারেন না। সৎ সন্তানের অবহেলায় ঠাঁই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে। এক সময় আদর-যত্ন করলেও, সৎ মায়ের কপালে জুটেছে একাকীত্ব আর অবহেলা। কেউ তার খোঁজ নেয় না এখন।

আরও রয়েছেন লতিফ শিকদার, বয়স ৬০ বছর। এক বছর ধরে আছেন শান্তি নিবাসে। নড়াইলের এই বৃদ্ধ একসময় দর্জির কাজ করে সন্তানদের বড় করেছেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্তানরা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও পরে আর খবর রাখেনি। এখন কথা বলতে পারেন না তিনি, তবে সন্তানদের নাম শুনলেই তার মুখ অন্ধকার হয়ে যায়।

এই বৃদ্ধ বাবা-মার চাওয়া খুব বেশি নয়—একটু খোঁজ, একটু ভালোবাসা। অথচ ঈদের দিনও সেই সামান্য চাওয়াটুকুও মেলেনি। শান্তি নিবাসে কাটছে নিঃসঙ্গ আর বিষণ্ন ঈদ।