ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাসমূহে ইসরায়েলের অভূতপূর্ব বিমান হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি চরমভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে চালানো হামলার জবাবে কঠোর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
শুক্রবার সকালবেলা ইরানের ইসফাহান প্রদেশে অবস্থিত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ‘নাতাঞ্জ’-এ বড় ধরনের একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দাবি করেছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে রাতভর চালানো একাধিক বিমান হামলার পরই এই বিস্ফোরণ ঘটে।
রয়টার্সকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ইরানের এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন,
“ইসরায়েলের হামলার জবাব হবে কঠোর ও চূড়ান্ত। কবে এবং কীভাবে এই জবাব দেওয়া হবে, তা বর্তমানে উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় নির্ধারণ করা হচ্ছে।”
হামলার পর ইরান তাদের আকাশসীমা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়,
“দেশের আকাশসীমা বন্ধ রাখার বিষয়ে এয়ার নোটিস (NOTAM) জারি করা হয়েছে এবং এটি পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।”
অন্যদিকে, ইসরায়েল এই হামলাকে “প্রথমে প্রতিরক্ষা” (preemptive strike) হিসেবে উল্লেখ করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ঘোষণা করেছেন,
“ইরানের পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা যে কোনো মুহূর্তে শুরু হতে পারে। এই হামলা ইসরায়েলি জনগণ ও অবকাঠামোর বিরুদ্ধে পরিচালিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।”
ইসরায়েল ইতোমধ্যেই ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ জারি করেছে এবং জনসাধারণকে সুরক্ষিত স্থানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল ও প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলোকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়েছে।