ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আলোচনার দরজা নিজেরাই বন্ধ করেছে ইসরায়েল’ — তেহরানের তোপ

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে থাকলেও ইরান এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ইরান ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি (জেসিপিওএ) অনুযায়ী আলোচনার পথ খোলা রাখতে চায়।

জর্ডানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়া নিউজের এক প্রতিবেদনে আরাগচির বক্তব্য তুলে ধরা হয়, যেখানে তিনি বলেন, “আমরা কূটনীতিকে সংকট নয়, বরং শক্তি হিসেবে দেখি। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তির পথে ফিরে যেতে ইরান প্রস্তুত।”

তবে আরাগচি বলেন, “এ পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েল, যারা প্রকাশ্যেই কূটনৈতিক সমাধানের বিরোধিতা করছে। তারা যুদ্ধ, দখল ও আক্রমণ চায়, শান্তির কোনো সুযোগ তারা মূল্যায়ন করছে না।”

২০১৫ সালের জেসিপিওএ চুক্তির মাধ্যমে ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করে এবং এর বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে আসেন, যা ইরান-পশ্চিম সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।

বর্তমানে, ইরান পুনরায় আলোচনায় বসতে আগ্রহী থাকলেও, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক হামলা এবং আক্রমণাত্মক অবস্থান পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানের বেশ কিছু সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যার জবাবে ইরানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সময়ে ইরানের কূটনৈতিক মনোভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে—বিশেষ করে তখন, যখন ইসরায়েল আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রাখছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরাইলি হামলায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর আশঙ্কা, প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান

‘আলোচনার দরজা নিজেরাই বন্ধ করেছে ইসরায়েল’ — তেহরানের তোপ

আপডেট সময় ০৮:৩১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে থাকলেও ইরান এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ইরান ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি (জেসিপিওএ) অনুযায়ী আলোচনার পথ খোলা রাখতে চায়।

জর্ডানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়া নিউজের এক প্রতিবেদনে আরাগচির বক্তব্য তুলে ধরা হয়, যেখানে তিনি বলেন, “আমরা কূটনীতিকে সংকট নয়, বরং শক্তি হিসেবে দেখি। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তির পথে ফিরে যেতে ইরান প্রস্তুত।”

তবে আরাগচি বলেন, “এ পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েল, যারা প্রকাশ্যেই কূটনৈতিক সমাধানের বিরোধিতা করছে। তারা যুদ্ধ, দখল ও আক্রমণ চায়, শান্তির কোনো সুযোগ তারা মূল্যায়ন করছে না।”

২০১৫ সালের জেসিপিওএ চুক্তির মাধ্যমে ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করে এবং এর বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে আসেন, যা ইরান-পশ্চিম সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।

বর্তমানে, ইরান পুনরায় আলোচনায় বসতে আগ্রহী থাকলেও, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক হামলা এবং আক্রমণাত্মক অবস্থান পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানের বেশ কিছু সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যার জবাবে ইরানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সময়ে ইরানের কূটনৈতিক মনোভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে—বিশেষ করে তখন, যখন ইসরায়েল আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রাখছে।