এবার বাবার মোটরসাইকেলে চড়ে কলেজে যাচ্ছিলেন। পথে মোটরসাইকেলের পেছনের চাকায় বোরকা পেঁচিয়ে গুরুতর আহত হন মেয়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। রোববার (২২ জুন) দুপুরে এ হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালী হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নে।
নিহত কলেজ ছাত্রী ইশরাত জাহান শান্তা হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের মানবিক একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সে জাহাজমারা ইউনিয়নের নতুন সুখচর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মো. আরিফের মেয়ে।
জানা যায়, সকালে জাহাজমার নিজবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে বাবা ও মেয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মোটরসাইকেলটি সোনাদিয়া এলাকার হিল্টন রোডে পৌঁছালে শান্তার বোরকার একটি অংশ পেছনের চাকার সঙ্গে পেঁচিয়ে যায়। গলায় ঝুলানো থাকা বোরকার অংশটি টান পড়লে শান্তা মাটিতে ছিটকে পড়ে।
এ সময় চলন্ত মোটরসাইকেলের গতি থাকায় তাকে অনেক দূর পর্যন্ত গলায় ফাঁসের মতো টেনে নিয়ে যায়। পরে পথচারিরা আহত বাবা ও মেয়েকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। শান্তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় জরুরিভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়।
হাসপাতালের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মো. শামীম বলেন, শান্তার মাথায় গুরুতর জখম হয়। এ ছাড়া তার ওড়না পেঁচিয়ে যাওয়ায় গলাতে শ্বাসরোধ হওয়ার মতো চিহ্ন ছিল। হাসপাতালে আনার পরপরই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো হয়।
এদিকে শান্তার চাচা মো. আশ্রাফ বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা নেওয়ার জন্য নদীর ওপারে পৌঁছালে শান্তার মৃত্যু হয়। পরে শান্তার মরদেহ তারা বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ দিকে শান্তার মৃত্যুতে তার বাবা অনেকটা হতবিহ্বল। তিনি সবার সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করছেন।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। শান্তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।