গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, একজন প্রধানমন্ত্রী হলে সব ক্ষমতা তার হাতে থাকবে—এ ধরনের শাসনব্যবস্থা বাংলাদেশে আর চলতে পারে না। রাষ্ট্রক্ষমতায় ভারসাম্য আনার জন্য সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের শৃঙ্খল ভেঙে দিতে হবে।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীর মিলগেইট নোয়াখালী সমিতির অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশে সংসদ এখন ‘হাততালি দেয়া এমপিদের সংসদ’ হয়ে গেছে। সংসদে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ চালু করে সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষমতা শুধু প্রধানমন্ত্রীর হাতে না রেখে সরকার ও বিরোধী দল মিলে তা নির্ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, নাগরিকের ধর্ম, গোত্র, অর্থনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে প্রত্যেকের অধিকার ও মর্যাদা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্র নাগরিকের অধিকার কেড়ে নেয়ার নয়, বরং রক্ষা করার জন্য। অথচ বাস্তবে দেখা যায়, চাকরি নেই, নিয়োগপত্র নেই, শ্রমের ন্যায্য অধিকার নেই—এমন সমাজে মানুষ ফুটপাতে দোকান দিয়ে জীবন চালায়। কিন্তু সেই দোকান কোথায় হবে, কে বসবে—তা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীন দল। সেখান থেকেও আদায় করা হয় চাঁদা।
বিগত সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুলিশকে জনগণের বিপক্ষে ক্ষোভের বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। তারা জনগণের সন্তানদের পাখির মতো গুলি করে মেরেছে। আমরা এটা আর হতে দেব না।
দলটির গাজীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক রায়, মহানগর আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, সদস্য তমিজ উদ্দিন সরকার, জাহাঙ্গীর সারোয়ার এবং শহীদ পরিবারের সদস্য ও জুলাইযোদ্ধারা।