ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষুধা নয়, অস্ত্রের পেছনে টাকা খরচ করা হচ্ছে: ড. ইউনূস

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:২৮:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৩৭ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও অভাবের মূল কারণ সম্পদের অভাব নয়, বরং এটি আমাদের তৈরি করা অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যর্থতার ফল।

 

 

তিনি ক্ষুধা দূরীকরণের চেয়ে অস্ত্রখাতে বিশ্বের বিপুল পরিমাণ ব্যয়কে ‘নৈতিক ব্যর্থতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

 

সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইতালির রোমে বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণে ড. ইউনূস এই মন্তব্য করেন।

 

 

নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘২০২৪ সালে ৬৭৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল, অথচ আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করি। এটি উৎপাদনের ব্যর্থতা নয়— এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা, এটি এক নৈতিক ব্যর্থতা।’

 

অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের সামরিক ব্যয়ের সঙ্গে ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের তুলনা টেনে আরও কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা যখন ক্ষুধা দূর করতে কয়েক বিলিয়ন ডলার জোগাড় করতে পারিনি, তখনই বিশ্ব অস্ত্রের পেছনে ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।’

 

 

ড. ইউনূসের এই বক্তব্য বিশ্ব নেতাদের অগ্রাধিকারের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং ক্ষুধা নির্মূলের জন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গণসংযোগে নিহত ১৫ মামলার আসামি সরওয়ার বিএনপির কেউ নন: আমীর খসরু

ক্ষুধা নয়, অস্ত্রের পেছনে টাকা খরচ করা হচ্ছে: ড. ইউনূস

আপডেট সময় ০৮:২৮:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও অভাবের মূল কারণ সম্পদের অভাব নয়, বরং এটি আমাদের তৈরি করা অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যর্থতার ফল।

 

 

তিনি ক্ষুধা দূরীকরণের চেয়ে অস্ত্রখাতে বিশ্বের বিপুল পরিমাণ ব্যয়কে ‘নৈতিক ব্যর্থতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

 

সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইতালির রোমে বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণে ড. ইউনূস এই মন্তব্য করেন।

 

 

নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘২০২৪ সালে ৬৭৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল, অথচ আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করি। এটি উৎপাদনের ব্যর্থতা নয়— এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা, এটি এক নৈতিক ব্যর্থতা।’

 

অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের সামরিক ব্যয়ের সঙ্গে ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের তুলনা টেনে আরও কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা যখন ক্ষুধা দূর করতে কয়েক বিলিয়ন ডলার জোগাড় করতে পারিনি, তখনই বিশ্ব অস্ত্রের পেছনে ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।’

 

 

ড. ইউনূসের এই বক্তব্য বিশ্ব নেতাদের অগ্রাধিকারের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং ক্ষুধা নির্মূলের জন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।