জুলাই বিপ্লব থেকে গড়ে ওঠা দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের সঙ্গে ছাত্র উপদেষ্টাদের নাম জড়িয়ে পদত্যাগ দাবি করাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত’ বলে আখ্যা দিয়েছে। শনিবার (২৪ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দলটির আহ্বায়ক ও সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “ছাত্র উপদেষ্টারা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে গেছেন। তারা গণআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন। এই প্রেক্ষাপটে তাদের পদত্যাগ দাবি মূলত একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।” তিনি ছাত্র উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাদের অপমান ও অপদস্থ করার ঘটনাও নিন্দা করেন।
বৈঠকে এনসিপি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি দলীয় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে। একইসঙ্গে তারা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি তোলে।
এই বৈঠকে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। বাকি সদস্যরা হলেন- দলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।
প্রসঙ্গত, এনসিপির বৈঠনের আগে একইদিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানায় এবং বর্তমান সরকারের তিন উপদেষ্টার, যার মধ্যে দুইজন ছাত্র উপদেষ্টা, তাদের পদত্যাগ দাবি করে। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী দুটি বিষয়ের ওপর রোডম্যাপ চায়—একটি জাতীয় নির্বাচনের তারিখ, অন্যটি জুলাই গণহত্যার বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়ার বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি জনগণের সামনে তুলে ধরা।