ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে ড্রেজিং নিলামে দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক ডিসি সালাহউদ্দীনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলার আবেদন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৪৭:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৫১ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের সদ্যসাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সালাহউদ্দীনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুটি ফৌজদারি মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন বিশেষ শ্রেণির ঠিকাদার আতিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে তিনি কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আবদুর রহিমের আদালতে আবেদন দুটি জমা দেন। আদালত আবেদন গ্রহণ করলেও রাত পর্যন্ত কোনো আদেশ দেননি বিচারক।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন জানান, আবেদন দুটি আদালতে গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিচারক পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

অভিযুক্তদের তালিকা

মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন—

  • মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন, সাবেক জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার
  • এ.কে.এম আরিফ উদ্দীন, পরিচালক (বন্দর ও পরিবহণ), বিআইডব্লিউটিএ
  • মো. রেজাউর রশিদ খন্দকার, নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং বিভাগ), বিআইডব্লিউটিএ
  • বিভীষন কান্তি দাস, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)
  • মোহাম্মদ সাফি ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী (ড্রেজিং বিভাগ), বিআইডব্লিউটিএ
  • প্রজ্ঞান চাকমা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড
  • মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান, সাবেক ডেপুটি কালেক্টর (রাজস্ব)
  • মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, প্রোপ্রাইটর, গার্ডিয়ান এন্টারপ্রাইজ
  • ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা

অন্য মামলার তালিকায় আরও যুক্ত হয়েছেন—

  • তাজমিন আলম তুলি, ডেপুটি কালেক্টর (রাজস্ব)
  • সৈয়দ আহমেদ উজ্জল, সভাপতি, কক্সবাজার জেলা যুবদল
  • মো. সরওয়ার রোমন, সিনিয়র সহ-সভাপতি, যুবদল

অভিযোগের বিবরণ

মামলার আবেদনে বলা হয়, বাঁকখালী নদীর ৬ নম্বর ঘাট এলাকায় নাব্যতা উন্নয়নের জন্য বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল বিক্রির একটি উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আতিকুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান ‘উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল’ ২৪ নভেম্বর দরপত্র দাখিল করে এবং জামানত হিসেবে ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা দেয়।

উন্মুক্ত নিলামে ১২টি দরপত্রের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা ছিলেন ‘উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল’— প্রতি ঘনফুট ৫.৩৭ টাকা, মোট ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা প্রস্তাব দেন ৪.৫০ টাকা হারে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

অভিযোগ অনুযায়ী, সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতাকে পছন্দের ভিত্তিতে কাজ দেওয়া হয়।

অন্য মামলাতেও প্রায় একই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। একটি ঘটনার সময় ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৪টা, আরেকটি ২৪ নভেম্বর ২০২৪।


 

জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারে ড্রেজিং নিলামে দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক ডিসি সালাহউদ্দীনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলার আবেদন

আপডেট সময় ১০:৪৭:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের সদ্যসাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সালাহউদ্দীনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুটি ফৌজদারি মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন বিশেষ শ্রেণির ঠিকাদার আতিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে তিনি কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আবদুর রহিমের আদালতে আবেদন দুটি জমা দেন। আদালত আবেদন গ্রহণ করলেও রাত পর্যন্ত কোনো আদেশ দেননি বিচারক।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন জানান, আবেদন দুটি আদালতে গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিচারক পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

অভিযুক্তদের তালিকা

মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন—

  • মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন, সাবেক জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার
  • এ.কে.এম আরিফ উদ্দীন, পরিচালক (বন্দর ও পরিবহণ), বিআইডব্লিউটিএ
  • মো. রেজাউর রশিদ খন্দকার, নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং বিভাগ), বিআইডব্লিউটিএ
  • বিভীষন কান্তি দাস, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)
  • মোহাম্মদ সাফি ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী (ড্রেজিং বিভাগ), বিআইডব্লিউটিএ
  • প্রজ্ঞান চাকমা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড
  • মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান, সাবেক ডেপুটি কালেক্টর (রাজস্ব)
  • মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, প্রোপ্রাইটর, গার্ডিয়ান এন্টারপ্রাইজ
  • ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা

অন্য মামলার তালিকায় আরও যুক্ত হয়েছেন—

  • তাজমিন আলম তুলি, ডেপুটি কালেক্টর (রাজস্ব)
  • সৈয়দ আহমেদ উজ্জল, সভাপতি, কক্সবাজার জেলা যুবদল
  • মো. সরওয়ার রোমন, সিনিয়র সহ-সভাপতি, যুবদল

অভিযোগের বিবরণ

মামলার আবেদনে বলা হয়, বাঁকখালী নদীর ৬ নম্বর ঘাট এলাকায় নাব্যতা উন্নয়নের জন্য বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল বিক্রির একটি উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আতিকুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান ‘উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল’ ২৪ নভেম্বর দরপত্র দাখিল করে এবং জামানত হিসেবে ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা দেয়।

উন্মুক্ত নিলামে ১২টি দরপত্রের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা ছিলেন ‘উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল’— প্রতি ঘনফুট ৫.৩৭ টাকা, মোট ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা প্রস্তাব দেন ৪.৫০ টাকা হারে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

অভিযোগ অনুযায়ী, সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতাকে পছন্দের ভিত্তিতে কাজ দেওয়া হয়।

অন্য মামলাতেও প্রায় একই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। একটি ঘটনার সময় ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৪টা, আরেকটি ২৪ নভেম্বর ২০২৪।