ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“ভারতের সঙ্গে আপস নয়, সীমান্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান” — লালমনিরহাটে এনসিপি নেতা সারজিস আলম

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • ৫৫৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার টোরাঙ্গি মোড়ে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, “সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পুশইনের মাধ্যমে এজেন্ট পাঠিয়ে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে ভারত। দেশের মানুষকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। যতদিন হাসিনা সেখানে আশ্রয়ে থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “লালমনিরহাট জেলা দেশের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চল। এনসিপি এখান থেকেই তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। আমরা তেলা মাথায় তেল দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাস করি না। জনগণের কথা সরাসরি শোনার জন্যই আমরা রাজপথে নেমেছি।”

উত্তরাঞ্চলের দীর্ঘদিনের অবহেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বুড়িমারী থেকে ঢাকা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চালু করা, পাটগ্রামে পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত বোমা মেশিন বন্ধ করা এবং বুড়িমারী স্থলবন্দরে চাঁদাবাজি রোধ করতে হবে। এছাড়া উপজেলার রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংকট দ্রুত সমাধান করতে হবে।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, “রাজনৈতিক দল বা মার্কা দেখে নয়, ভালো মানুষকে ভোট দিন। যিনি জনগণের পাশে থাকেন, টাকা ছাড়া কথা শোনেন—তাকেই ভবিষ্যতের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করুন।” তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “উত্তরাঞ্চলের কোথায় কী সমস্যা আছে, আমরা তা মাঠে-ঘাটে হেঁটে দেখে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের জানাব।”

পথসভার শেষ দিকে তিনি স্পষ্ট করেন, “আমি এখানে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে ভোট চাইতে আসিনি। এসেছি এই বার্তা দিতে—আপনারা দলমত নির্বিশেষে সৎ ও জনদরদী ব্যক্তিকে ভোট দিন।”

এই পথসভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল মাহমুদ। অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, এবং তারা স্থানীয় সমস্যাগুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করে দলীয় কার্যক্রম আরও বেগবান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের মামলার আপিলের রায় ঘোষণা রবিবার

“ভারতের সঙ্গে আপস নয়, সীমান্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান” — লালমনিরহাটে এনসিপি নেতা সারজিস আলম

আপডেট সময় ০৯:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার টোরাঙ্গি মোড়ে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, “সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পুশইনের মাধ্যমে এজেন্ট পাঠিয়ে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে ভারত। দেশের মানুষকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। যতদিন হাসিনা সেখানে আশ্রয়ে থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “লালমনিরহাট জেলা দেশের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চল। এনসিপি এখান থেকেই তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। আমরা তেলা মাথায় তেল দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাস করি না। জনগণের কথা সরাসরি শোনার জন্যই আমরা রাজপথে নেমেছি।”

উত্তরাঞ্চলের দীর্ঘদিনের অবহেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বুড়িমারী থেকে ঢাকা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চালু করা, পাটগ্রামে পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত বোমা মেশিন বন্ধ করা এবং বুড়িমারী স্থলবন্দরে চাঁদাবাজি রোধ করতে হবে। এছাড়া উপজেলার রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংকট দ্রুত সমাধান করতে হবে।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, “রাজনৈতিক দল বা মার্কা দেখে নয়, ভালো মানুষকে ভোট দিন। যিনি জনগণের পাশে থাকেন, টাকা ছাড়া কথা শোনেন—তাকেই ভবিষ্যতের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করুন।” তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “উত্তরাঞ্চলের কোথায় কী সমস্যা আছে, আমরা তা মাঠে-ঘাটে হেঁটে দেখে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের জানাব।”

পথসভার শেষ দিকে তিনি স্পষ্ট করেন, “আমি এখানে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে ভোট চাইতে আসিনি। এসেছি এই বার্তা দিতে—আপনারা দলমত নির্বিশেষে সৎ ও জনদরদী ব্যক্তিকে ভোট দিন।”

এই পথসভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল মাহমুদ। অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, এবং তারা স্থানীয় সমস্যাগুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করে দলীয় কার্যক্রম আরও বেগবান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।