ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরের সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৪০:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • ৫৬৭ বার পড়া হয়েছে

মুরাদনগরের সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ ঝাড়লেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। শনিবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “মুরাদনগরে সকল আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন, পুনর্বাসন করেছেন ও ক্ষমতায়ন করেছেন, তারাই আজকের পরিস্থিতির জন্য দায়ী।”

তিনি অভিযোগ করেন, এসব ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের মতো অপরাধের পথ খুলে দিয়েছেন। তার ভাষায়, “এর আগেও এক চাঁদাবাজকে হাতেনাতে ধরার পর মাফিয়া বাহিনী থানায় হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল।”

মুরাদনগরের সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনার ইঙ্গিত করে আসিফ মাহমুদ বলেন, “আজ আমি লজ্জিত, আমার বলার ভাষা নেই। এলাকার মানুষ আমাকে বলছে, গণঅভ্যুত্থানে দেশ মুক্ত হলেও মুরাদনগর এখনো বড় বড় মাফিয়াদের দখলে।”

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে ঠিকই, তবে মূল অপরাধী চক্রকে যদি লাগামহীনভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পূর্বের ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রকাশ্য অভিযোগ প্রশাসনিক ব্যবস্থার দিকেও নতুন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে: বিএনপি মহাসচিব ফখরুল

মুরাদনগরের সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া

আপডেট সময় ০৯:৪০:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

মুরাদনগরের সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ ঝাড়লেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। শনিবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “মুরাদনগরে সকল আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন, পুনর্বাসন করেছেন ও ক্ষমতায়ন করেছেন, তারাই আজকের পরিস্থিতির জন্য দায়ী।”

তিনি অভিযোগ করেন, এসব ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের মতো অপরাধের পথ খুলে দিয়েছেন। তার ভাষায়, “এর আগেও এক চাঁদাবাজকে হাতেনাতে ধরার পর মাফিয়া বাহিনী থানায় হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল।”

মুরাদনগরের সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনার ইঙ্গিত করে আসিফ মাহমুদ বলেন, “আজ আমি লজ্জিত, আমার বলার ভাষা নেই। এলাকার মানুষ আমাকে বলছে, গণঅভ্যুত্থানে দেশ মুক্ত হলেও মুরাদনগর এখনো বড় বড় মাফিয়াদের দখলে।”

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে ঠিকই, তবে মূল অপরাধী চক্রকে যদি লাগামহীনভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পূর্বের ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রকাশ্য অভিযোগ প্রশাসনিক ব্যবস্থার দিকেও নতুন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে।