ছাত্রলীগের পলাতক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন কলকাতা থেকে ফেসবুক লাইভে এসে সরাসরি কর্মীদের এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে নারীদের সংগঠিত করেন কাজলের স্ত্রী ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ইয়াসমিন আলম।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার পেছনে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল বলে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হামলার বিষয়ে দৈনিক যুগান্তর-এর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে, শেখ হাসিনা নিজেই ছাত্রলীগসহ দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ‘প্রতিহত করতে’ উসকে দেন।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে অডিও বার্তা পাঠান নিষিদ্ধ ঘোষিত গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়াল ও সভাপতি নিউটন মোল্লার কাছে। এতে শেখ হাসিনা বলেন—
“তোমরা বসে আছ কেন? ওরা টুঙ্গিপাড়ায় আমার বাবার কবর ভাঙার ঘোষণা দিয়েছে। গোপালগঞ্জে যাতে ঢুকতে না পারে—প্রতিহত কর। মনে রাখবা, গোপালগঞ্জের মাটি থেকে ওদের কেউ অক্ষতভাবে ফিরে যেতে পারবে না।”
অপর একটি অডিওতে নিউটন মোল্লাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন—
“যেভাবে পার, ওদের ঠেকাও। আর যদি ঢুকেই পড়ে, তাহলে একজনও যেন জীবিত ফিরে যেতে না পারে।”
এই অডিওর একদিন পরই এনসিপির কর্মসূচির দিন সকালবেলা গোপালগঞ্জ শহরের চর দুর্গাপুরে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। একইসঙ্গে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার মাধ্যমে এনসিপি নেতাদের বহরে আঘাত করা হয়। এসব হামলায় নেতৃত্ব দেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতারা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনা শুধু ছাত্রলীগ নয়, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সঙ্গেও টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। উদ্দেশ্য ছিল এনসিপির গোপালগঞ্জ কর্মসূচি পণ্ড করে দেওয়া এবং শীর্ষ নেতাদের ওপর হামলা।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুরো ঘটনার সমন্বয় করেন লন্ডন, কলকাতা ও ঢাকা—তিন জায়গা থেকে ছড়িয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা। তাঁদের মধ্যে আছেন:
-
শেখ ফজলুল করিম সেলিম (কলকাতা),
-
আব্দুর রহমান (লন্ডন),
-
ইকবাল হোসেন অপু (ঢাকা),
-
মাহবুব আলী খান ও শফিকুল আলম কাজল (গোপালগঞ্জ)।