১. শেখ হাসিনা অপ্রত্যাশিতভাবে পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগ
দীর্ঘদিনের প্রিয় নেত্রীকে পদত্যাগী ঘোষণা করতে বাধ্য করে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান। গ্রামের মিছিল-সমাবেশ, শহরের বিক্ষোভ যত বৃদ্ধিবোচক ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে → তিনি গোপনে ভারতে চলে যান ।
২. সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ও সংঘঠিত সাময়িক সরকার
৫ আগস্ট রাতে সেনার মুখ্য জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামান কবুল করেন তাঁরা শান্তি ফেরাতে ভূমিকা রাখবেন। ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন এবং একটি অস্থায়ী সরকারের অঙ্গীকার দেন ।
৩. নোবেল শান্তি বিজয়ী ইউনুসকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মুহাম্মদ ইউনুসকে রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বে আনতে উদ্যোগ নেয়, তাঁর রেহাই ও নতুন সরকারের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় দাবি ।
-
সংসদ বিলুপ্ত ও নির্বাচন প্রস্তুতি শুরু
রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংসদ বিলুপ্ত করা হয়, অস্থায়ী সরকারের অধীনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন প্রস্তুত হওয়ার আশ্বাস পাওয়া যায় -
সম্পদহানি ও গণহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে অধঃপতনের আশঙ্কা
জুলাই-আগস্টের নৃশংস দমন ও সহিংসতায় প্রায় ৩০০ জন নিহত, ঝুঁকিময় শান্তিপূর্ণ রাজনীতির পথেই মূল ফোকাস। আন্দোলন ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ হিসেবে বিবেচিত হতে শুরু করে ।
৬ আগস্ট ২০২৪ ছিল বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য এক ‘রাজনৈতিক মোড়’—ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলন খাবার নেওয়ার সময়, শেখ হাসিনাদের ১৫ বছরের শাসন পতন ঘটে। সেনা ‘শান্তি ভূমিকা’ নেয়, সংসদ বিলুপ্ত করা হয়, ও এক নতুন কম-আশ্বাস মুখর অস্থায়ী প্রশাসন ঘোষণা করা হয়, যেখানে মুহাম্মদ ইউনুসকে নেতৃত্বে আনতে চাওয়া হয়। এই দিনটিকে অনেকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলেও অভিহিত করেছেন।