ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুল থেকে কেউই পাস করেনি, প্রশ্নে শিক্ষকদের অবহেলা ও প্রশাসনিক তদারকি ঘাটতি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৪৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে পিরোজপুর জেলার দুটি স্কুল থেকে কেউই পাস করতে পারেনি—যা স্থানীয়ভাবে শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।

ব্যর্থতার মুখোমুখি হওয়া দুটি বিদ্যালয় হলো পিরোজপুর সদর উপজেলার জুজখোলা সম্মিলনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ভাণ্ডারিয়া উপজেলার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

জুজখোলা সম্মিলনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম হালদার জানান, “আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ জন ছাত্রী রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় মাত্র ৫ জন। এদের সবাইই ফেল করেছে। সব ছাত্রী বিবাহিত হওয়ায় ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি ছিল না। সে কারণে পড়ালেখার মান ছিল খুবই দুর্বল।”

অন্যদিকে ভাণ্ডারিয়ার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “৭ জন রেজিস্ট্রেশন করেছিল, ৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। গ্রামীণ এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নিয়মিত পড়ালেখার প্রবণতা কম। তারা ঠিকমতো ক্লাসে আসে না, বাসায়ও পড়ে না। ফলে কেউই পাস করতে পারেনি।”

দুটি প্রতিষ্ঠানই সরকারি এমপিওভুক্ত এবং সেখানে মোট ১০ জন শিক্ষক রয়েছেন। স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীদের অভিযোগ, শিক্ষকরা ঠিকমতো পাঠদান করেন না এবং বিদ্যালয় পরিচালনায় দায়িত্বহীনতা রয়েছে। এতে দিন দিন পড়ালেখার মান অবনতির দিকে যাচ্ছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, “এখনো বিষয়টি আমাদের কাছে অফিসিয়ালি আসেনি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোটে অনিয়মে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

স্কুল থেকে কেউই পাস করেনি, প্রশ্নে শিক্ষকদের অবহেলা ও প্রশাসনিক তদারকি ঘাটতি

আপডেট সময় ০৯:৪৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে পিরোজপুর জেলার দুটি স্কুল থেকে কেউই পাস করতে পারেনি—যা স্থানীয়ভাবে শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।

ব্যর্থতার মুখোমুখি হওয়া দুটি বিদ্যালয় হলো পিরোজপুর সদর উপজেলার জুজখোলা সম্মিলনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ভাণ্ডারিয়া উপজেলার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

জুজখোলা সম্মিলনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম হালদার জানান, “আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ জন ছাত্রী রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় মাত্র ৫ জন। এদের সবাইই ফেল করেছে। সব ছাত্রী বিবাহিত হওয়ায় ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি ছিল না। সে কারণে পড়ালেখার মান ছিল খুবই দুর্বল।”

অন্যদিকে ভাণ্ডারিয়ার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “৭ জন রেজিস্ট্রেশন করেছিল, ৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। গ্রামীণ এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নিয়মিত পড়ালেখার প্রবণতা কম। তারা ঠিকমতো ক্লাসে আসে না, বাসায়ও পড়ে না। ফলে কেউই পাস করতে পারেনি।”

দুটি প্রতিষ্ঠানই সরকারি এমপিওভুক্ত এবং সেখানে মোট ১০ জন শিক্ষক রয়েছেন। স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীদের অভিযোগ, শিক্ষকরা ঠিকমতো পাঠদান করেন না এবং বিদ্যালয় পরিচালনায় দায়িত্বহীনতা রয়েছে। এতে দিন দিন পড়ালেখার মান অবনতির দিকে যাচ্ছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, “এখনো বিষয়টি আমাদের কাছে অফিসিয়ালি আসেনি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”