ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংঘাত শেষে যুদ্ধবিরতি, কিন্তু সৌদির গোপন ভূমিকা নিয়ে তোলপাড় আন্তর্জাতিক অঙ্গন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:০৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
  • ৫৫২ বার পড়া হয়েছে

টানা ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর অবশেষে যুদ্ধবিরোতিতে পৌঁছেছে ইরান ও ইসরাইল। তবে সংঘাত থামলেও পেছনের চিত্র ঘিরে উঠে আসছে বিস্ফোরক সব তথ্য। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ইসরাইল হাইয়ম এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে—এই সংঘাতকালে মুসলিম দেশ সৌদি আরব গোপনে সহযোগিতা করেছে ইসরাইলকে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রকাশ্যে ইরানের পক্ষাবলম্বনের ভান করলেও বাস্তবে রিয়াদ নাকি হেলিকপ্টার ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে ইরানের ড্রোন প্রতিহত করতে সাহায্য করেছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরাইলি বাহিনীকে। সৌদি সহযোগিতায় এই অভিযান চালানো হয় জর্ডান ও ইরাকের আকাশসীমা ব্যবহার করে।

এতে সৌদি নেতৃত্বের দ্বিচারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। মুখে ফিলিস্তিনপ্রীতি ও ইসরাইলবিরোধী বক্তব্য দিলেও বাস্তবে ইরানবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে মুসলিম ভ্রাতৃত্বের নৈতিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

শুধু সৌদি আরব নয়, প্রতিবেদন অনুযায়ী, জর্ডান ও ইরাকও ইসরাইলকে সহযোগিতা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। অথচ এই তিনটি দেশই বহুদিন ধরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান জানিয়ে আসছে।

অন্যদিকে, গাজায় ২১ মাসের ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৭,১৩০ ফিলিস্তিনি, যাদের সিংহভাগ নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি। এই মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও সৌদি আরবের কার্যকর কোনো ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়নি—বরং বরাবরই ছিল কূটনৈতিক বিবৃতির আড়ালে নীরব।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে ইরান এককভাবে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও, পেছন থেকে সেই ইরানকেই দুর্বল করতে ইসরাইলকে সহায়তা করায় সৌদিসহ একাধিক মুসলিম রাষ্ট্রের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে আন্তর্জাতিক মহল।

জনপ্রিয় সংবাদ

যুদ্ধবিরতির পর যুক্তরাষ্ট্র-ইরান মুখোমুখি আলোচনায় বসছে, সম্ভাব্য বৈঠক নরওয়েতে

সংঘাত শেষে যুদ্ধবিরতি, কিন্তু সৌদির গোপন ভূমিকা নিয়ে তোলপাড় আন্তর্জাতিক অঙ্গন

আপডেট সময় ১০:০৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

টানা ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর অবশেষে যুদ্ধবিরোতিতে পৌঁছেছে ইরান ও ইসরাইল। তবে সংঘাত থামলেও পেছনের চিত্র ঘিরে উঠে আসছে বিস্ফোরক সব তথ্য। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ইসরাইল হাইয়ম এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে—এই সংঘাতকালে মুসলিম দেশ সৌদি আরব গোপনে সহযোগিতা করেছে ইসরাইলকে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রকাশ্যে ইরানের পক্ষাবলম্বনের ভান করলেও বাস্তবে রিয়াদ নাকি হেলিকপ্টার ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে ইরানের ড্রোন প্রতিহত করতে সাহায্য করেছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরাইলি বাহিনীকে। সৌদি সহযোগিতায় এই অভিযান চালানো হয় জর্ডান ও ইরাকের আকাশসীমা ব্যবহার করে।

এতে সৌদি নেতৃত্বের দ্বিচারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। মুখে ফিলিস্তিনপ্রীতি ও ইসরাইলবিরোধী বক্তব্য দিলেও বাস্তবে ইরানবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে মুসলিম ভ্রাতৃত্বের নৈতিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

শুধু সৌদি আরব নয়, প্রতিবেদন অনুযায়ী, জর্ডান ও ইরাকও ইসরাইলকে সহযোগিতা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। অথচ এই তিনটি দেশই বহুদিন ধরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান জানিয়ে আসছে।

অন্যদিকে, গাজায় ২১ মাসের ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৭,১৩০ ফিলিস্তিনি, যাদের সিংহভাগ নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি। এই মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও সৌদি আরবের কার্যকর কোনো ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়নি—বরং বরাবরই ছিল কূটনৈতিক বিবৃতির আড়ালে নীরব।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে ইরান এককভাবে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও, পেছন থেকে সেই ইরানকেই দুর্বল করতে ইসরাইলকে সহায়তা করায় সৌদিসহ একাধিক মুসলিম রাষ্ট্রের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে আন্তর্জাতিক মহল।