ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক, অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস অফিসারদের ১০-দফা ঘোষণা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • ৫৪৯ বার পড়া হয়েছে

২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লব দেশকে এক নতুন রাজনৈতিক ধারায় প্রবেশ করালেও পরবর্তী সময়ে জাতীয় ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজনের চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জাতির কাঙ্ক্ষিত ঐক্যের স্থানে দেখা দিয়েছে মতপার্থক্য ও দ্বিধা, যা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে, বিশেষত আরব বসন্তের অভিজ্ঞতার আলোকে, বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে বিপ্লব-পরবর্তী জাতীয় ঐক্য ভেঙে পড়লে গণতান্ত্রিক চর্চা হুমকির মুখে পড়তে পারে। এই বাস্তবতায়, দেশের অভিজ্ঞ প্রশাসনিক নেতৃত্ব—‘অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস অফিসার্স ফোরাম’—জাতির ভবিষ্যৎ রক্ষায় ১০-দফা আহ্বান জানিয়েছে।

ফোরামের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা ১০-দফা দাবির মূল বিষয়গুলো হলো:

১. জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দলমত নির্বিশেষে ইনসাফ, ন্যায্যতা ও সুশাসনের ভিত্তিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান।
২. স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্র-জনতাকে সচেতন ও সক্রিয় থাকার তাগিদ।
৩. ‘জুলাই সনদ ২০২৪’ অবিলম্বে ঘোষণা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের দাবি।
৪. প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর প্রতি জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং উস্কানিমূলক শক্তিকে প্রত্যাখ্যানের অনুরোধ।
৫. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও প্রশাসনের দৃঢ় ভূমিকা নিশ্চিতকরণ।
৬. দুঃশাসনের সহযোগী কর্মকর্তাদের অপসারণ এবং সৎ, দেশপ্রেমিক কর্মচারীদের পদায়নের আহ্বান।
৭. অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে মৌলিক সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন।
৮. রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্রুত সংলাপের মাধ্যমে সংস্কারমুখী রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।
৯. উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রতি রাজনৈতিক বিভাজনমূলক কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান।
১০. আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে জাতীয় ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রত্যয়।

ফোরামের নেতারা মনে করেন, বর্তমান সময়টি দেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ক্রান্তিকাল। এই প্রেক্ষাপটে তারা প্রত্যেক নাগরিক, রাজনীতিক এবং প্রশাসনিক সংস্থার দায়িত্বশীল ও ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার উপর জোর দিয়েছেন।

এছাড়াও, তারা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছেন। ফোরামের মতে, ড. ইউনূস দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে কাজ করে আসছেন এবং তার নেতৃত্বেই দেশ একটি সুশাসিত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হতে পারে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

আলফাডাঙ্গায় বিএনপির কর্মিসভায় সভাপতির আসনে আওয়ামী লীগ নেতা, সংগঠনে সমালোচনার ঝড়

ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক, অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস অফিসারদের ১০-দফা ঘোষণা

আপডেট সময় ১০:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লব দেশকে এক নতুন রাজনৈতিক ধারায় প্রবেশ করালেও পরবর্তী সময়ে জাতীয় ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজনের চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জাতির কাঙ্ক্ষিত ঐক্যের স্থানে দেখা দিয়েছে মতপার্থক্য ও দ্বিধা, যা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে, বিশেষত আরব বসন্তের অভিজ্ঞতার আলোকে, বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে বিপ্লব-পরবর্তী জাতীয় ঐক্য ভেঙে পড়লে গণতান্ত্রিক চর্চা হুমকির মুখে পড়তে পারে। এই বাস্তবতায়, দেশের অভিজ্ঞ প্রশাসনিক নেতৃত্ব—‘অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস অফিসার্স ফোরাম’—জাতির ভবিষ্যৎ রক্ষায় ১০-দফা আহ্বান জানিয়েছে।

ফোরামের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা ১০-দফা দাবির মূল বিষয়গুলো হলো:

১. জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দলমত নির্বিশেষে ইনসাফ, ন্যায্যতা ও সুশাসনের ভিত্তিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান।
২. স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্র-জনতাকে সচেতন ও সক্রিয় থাকার তাগিদ।
৩. ‘জুলাই সনদ ২০২৪’ অবিলম্বে ঘোষণা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের দাবি।
৪. প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর প্রতি জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং উস্কানিমূলক শক্তিকে প্রত্যাখ্যানের অনুরোধ।
৫. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও প্রশাসনের দৃঢ় ভূমিকা নিশ্চিতকরণ।
৬. দুঃশাসনের সহযোগী কর্মকর্তাদের অপসারণ এবং সৎ, দেশপ্রেমিক কর্মচারীদের পদায়নের আহ্বান।
৭. অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে মৌলিক সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন।
৮. রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্রুত সংলাপের মাধ্যমে সংস্কারমুখী রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।
৯. উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রতি রাজনৈতিক বিভাজনমূলক কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান।
১০. আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামে জাতীয় ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রত্যয়।

ফোরামের নেতারা মনে করেন, বর্তমান সময়টি দেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ক্রান্তিকাল। এই প্রেক্ষাপটে তারা প্রত্যেক নাগরিক, রাজনীতিক এবং প্রশাসনিক সংস্থার দায়িত্বশীল ও ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার উপর জোর দিয়েছেন।

এছাড়াও, তারা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছেন। ফোরামের মতে, ড. ইউনূস দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে কাজ করে আসছেন এবং তার নেতৃত্বেই দেশ একটি সুশাসিত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হতে পারে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।