ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিষয়ে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৫৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • ৫১৩ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ভারত শিগগিরই আরেকটি দুঃসাহসিক সামরিক অভিযান চালাতে পারে। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, উসকানিমূলক কোনো পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তান কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে রাজনৈতিক চাপে রয়েছেন এবং জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় আবেগপ্রবণ ও বেপরোয়া সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।” তিনি আরও বলেন, “মোদি যদি হতাশা থেকে আগ্রাসী পদক্ষেপ নেন, তাহলে পাকিস্তান তার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে – যার আন্তর্জাতিক পরিণতি হতে পারে।”

আসিফের মতে, উত্তেজনার নতুন মাত্রা তৈরি হলে, ভারতের মিত্ররাও হয়তো মোদির পদক্ষেপকে সমর্থন নাও করতে পারে। তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর কোনো বাহ্যিক চাপ ছিল না। বরং যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধবিরতির পক্ষে মত দিয়ে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে।”

প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, “পাকিস্তান চারদিন সংযম দেখিয়েছে, আশা করেছিল ভারত যুক্তির পথে আসবে, কিন্তু তা হয়নি। তবে আমাদের জয় হয়েছে বহু দিক থেকে।” তিনি জানান, সাম্প্রতিক সংঘাতে সাইবার যুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং এতে ভারতের ডিজিটাল অবকাঠামো বিপর্যস্ত হয়েছে।

তিনি আরও দাবি করেন, সংঘর্ষ চলাকালীন পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান এবং একটি ইউএভি ভূপাতিত করেছে। সেই সঙ্গে জানান, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তান সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে এবং বিশ্বের অনেক দেশ এখন পাকিস্তানকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে।

কাশ্মীর প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, “প্রথমবারের মতো ভারত আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর ইস্যু সমাধানে আগ্রহ দেখাচ্ছে, যা পাকিস্তানের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক অর্জন।”

উল্লেখ্য, গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশই পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও যৌথভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

এনসিপি উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবি ভিন্নখাতে নিতে ‘পদত্যাগ নাটক’ মঞ্চায়ন: রাশেদ খাঁন

ভারতের সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিষয়ে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

আপডেট সময় ১১:৫৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ভারত শিগগিরই আরেকটি দুঃসাহসিক সামরিক অভিযান চালাতে পারে। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, উসকানিমূলক কোনো পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তান কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে রাজনৈতিক চাপে রয়েছেন এবং জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় আবেগপ্রবণ ও বেপরোয়া সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।” তিনি আরও বলেন, “মোদি যদি হতাশা থেকে আগ্রাসী পদক্ষেপ নেন, তাহলে পাকিস্তান তার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে – যার আন্তর্জাতিক পরিণতি হতে পারে।”

আসিফের মতে, উত্তেজনার নতুন মাত্রা তৈরি হলে, ভারতের মিত্ররাও হয়তো মোদির পদক্ষেপকে সমর্থন নাও করতে পারে। তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর কোনো বাহ্যিক চাপ ছিল না। বরং যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধবিরতির পক্ষে মত দিয়ে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে।”

প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, “পাকিস্তান চারদিন সংযম দেখিয়েছে, আশা করেছিল ভারত যুক্তির পথে আসবে, কিন্তু তা হয়নি। তবে আমাদের জয় হয়েছে বহু দিক থেকে।” তিনি জানান, সাম্প্রতিক সংঘাতে সাইবার যুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং এতে ভারতের ডিজিটাল অবকাঠামো বিপর্যস্ত হয়েছে।

তিনি আরও দাবি করেন, সংঘর্ষ চলাকালীন পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান এবং একটি ইউএভি ভূপাতিত করেছে। সেই সঙ্গে জানান, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তান সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়েছে এবং বিশ্বের অনেক দেশ এখন পাকিস্তানকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে।

কাশ্মীর প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, “প্রথমবারের মতো ভারত আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর ইস্যু সমাধানে আগ্রহ দেখাচ্ছে, যা পাকিস্তানের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক অর্জন।”

উল্লেখ্য, গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশই পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও যৌথভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।