পূর্ব আফ্রিকার গিনি-বিসাউতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে — দেশটির প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো ও প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দেশজুড়ে খবর পাওয়া যায়, সামরিক কর্মকর্তারা দেশ সম্পর্কে ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ দাবি করেছে।
সিদ্ধান্ত ও পরিস্থিতি
- সেনাবাহিনীর একটি দল শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ঘোষণা দেয়, তারা গিনি-বিসাউয়ের ‘উচ্চ সামরিক কমান্ড’ হিসেবে কাজ করবে এবং দেশগুলোকে তাদের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগের সব গৃহীত ঐকরিক সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে।
- তারা উল্লেখ করে, সব ধরনের নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত থাকবে, এবং দেশটির আকাশ, নৌ ও স্থল সীমান্ত বন্ধ, রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে।
- সেনা অভ্যুত্থানের একারণ হিসেবে সফট হিসেবে বলা হয়েছে, পুরনো রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নির্বাচনী বিরোধ। গত রোববার (স্বাভাবিকভাবে) গিনি-বিসাউতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী — প্রেসিডেন্ট এমবালো এবং ফার্নান্দো দিয়াস — দু’জনই নিজেদের জয়ী ঘোষণা করেছিল।
প্রেসিডেন্ট ও বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া
প্রেসিডেন্ট এমবালো এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা (AFP)–কে জানিয়েছেন, “আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। আমি বর্তমানে সেনা হেডকোয়ার্টারে নিরাপত্তা বিছানায় আছি।”
এই ঘটনায় ঐ দেশটির প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারাও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রেক্ষাপট ও উদ্বেগ
গিনি-বিসাউ ১৯৭৪ সালে পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর থেকে দেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতা, অভ্যুত্থান ও শক্তি পরিবর্তনের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত। বহুবার সেনা বা সামরিক গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপ দেখা গেছে।
বিশ্লেষকরা মেনে নিচ্ছেন, সাম্প্রতিক নির্বাচন ও রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিল অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট — এবং এখন রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে দেশ একটি অনিশ্চিত সময়ের মুখোমুখি।
সম্ভাব্য প্রভাব
- সীমান্ত, নৌ ও বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ায় দেশজুড়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
- তথ্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার প্রচেষ্টা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে — যা বিদেশি সংবাদমাধ্যম, বিনিয়োগকারী ও অনাস্থানিক সংস্থার জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
- এভাবে সামরিক অভ্যুত্থান গিনি-বিসাউসহ পশ্চিম আফ্রিকার রাজনৈতিক স্থিরতাকে প্রভাবিত করতে পারে।


























