নিরাপত্তার স্বার্থে আমার কাছে একটি বৈধ, সরকার থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র রয়েছে। বিগত কিছু সময় ধরে গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বের প্রতি যেভাবে একাধিকবার হত্যাচেষ্টা হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটি রাখা একেবারেই স্বাভাবিক। সরকারি কোনো প্রটোকল বা নিরাপত্তা না থাকলে বৈধভাবে নিজের সুরক্ষার উদ্যোগ নেওয়া আইনত অনুমোদিত এবং দায়িত্বশীল নাগরিকের প্রতিফলন।
আমি ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে মরক্কোর মারাকেশে যাওয়ার জন্য আজ ভোর ৬:৫০ মিনিটে ফ্লাইটে উঠি। তাড়াহুড়োর মধ্যে প্যাকিং করতে গিয়ে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রটি ও একটি ম্যাগাজিন যথাযথভাবে রেখে এলেও, ভুলবশত আরেকটি খালি ম্যাগাজিন ব্যাগে থেকে যায়। এটি আমার দিক থেকে পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল।
এয়ারপোর্টে স্ক্যানিংয়ের সময় সেটি ধরা পড়লে আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার প্রোটোকল অফিসারের কাছে হস্তান্তর করি এবং এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করি। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র একটি ম্যাগাজিন দিয়ে কিছুই করার উপায় নেই, এবং যদি আমার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে অস্ত্রটি রেখেই যেতাম না।
ঘটনাটি শতভাগ আইনি ও নিরীহ হওয়া সত্ত্বেও কিছু মানুষ এটিকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিতর্কের খোরাক বানাচ্ছেন, যা দুঃখজনক।
আর সংবাদ চাপ দিয়ে সরানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এই ঘটনার পরে আমি টিমসহ দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার ফ্লাইটে ছিলাম। ট্রানজিটে নামার পর অনেক দেরিতে অনলাইনে এসে পুরো বিষয়টি জেনেছি।
সবশেষে বলতে চাই, আপনি যদি একজন নাগরিক হিসেবে নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়ে থাকেন, তাহলে আইন মেনে আপনি নিজেও লাইসেন্সধারী অস্ত্র রাখতে পারেন। এটি সংবিধান ও আইনের আওতায় একটি স্বীকৃত অধিকার।