হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক নৈশভোজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “আশা করি, আমি ইরানে আবার হামলা চালাতে বাধ্য হব না।” তবে একইসঙ্গে তিনি জানান, ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং আগামী সপ্তাহেই সে আলোচনা হতে পারে।
সোমবার (৮ জুলাই) রাতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি চাই, একটা কিছু লিখিতভাবে থাকুক। ইরানও দেখা করতে আগ্রহী বলেছে।” যদিও ইরানের পক্ষ থেকে এখনো এসব দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশ্ন তোলেন, “আলোচনার আর কী যুক্তি আছে?” তার ভাষ্য, “আমরা ইতোমধ্যেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দিয়েছি। এর মধ্যে একটি ছিল গ্রানাইড পাথরের তৈরি দুর্গম ঘাঁটি, তবুও সেটি আমরা গুঁড়িয়ে দিয়েছি।” এ দাবির সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আণবিক শক্তি কমিশনও।
অন্যদিকে নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন ইস্যুতে তার পুরোনো অবস্থানেই অনড়। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনিরা নিজেদের শাসন করতে পারবে, কিন্তু সার্বভৌম ক্ষমতা পাবে না।” তার ভাষ্য, “ইসরায়েল শপথ করেছে— কখনোই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না।” তিনি দাবি করেন, “যারা ইসরায়েলের ধ্বংস চায় না, তাদের সঙ্গে আমরা শান্তি স্থাপন করব। তবে সেই শান্তির নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও সার্বভৌম ক্ষমতা সব সময় ইসরায়েলের হাতেই থাকবে।”
আল-জাজিরা জানিয়েছে, এ বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে একটি সম্ভাব্য চুক্তির আলোচনার কথা থাকলেও, দুই নেতার অবস্থান থেকে বোঝা যায়, এই মুহূর্তে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা কিংবা বাস্তব শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।