ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনা এইচকিউ-৯বি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের হাতে, তেল দিয়ে চুক্তি!

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:৩৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • ৬১৩ বার পড়া হয়েছে

চীনের অত্যাধুনিক ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা এইচকিউ-৯বি এখন ইরানের হাতে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, ১২ দিনের সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের পর ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির (২৪ জুন) ঠিক পরপরই এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইরানে পৌঁছে যায়।

আরব গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো দ্রুত গড়ে তুলতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে তেহরান। তবে চীন সরাসরি যুদ্ধ জোটে না থাকলেও, এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ দু’দেশের সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্কের গভীরতা নির্দেশ করছে।

এক আরব কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্রগুলো বিষয়টি জানে এবং হোয়াইট হাউসকে সতর্ক করেছে। যদিও ঠিক কত ইউনিট ক্ষেপণাস্ত্র ইরান পেয়েছে তা জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, তেল বিনিময় চুক্তির মাধ্যমেই এই সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে।

ইরানের সঙ্গে চীনের সামরিক সম্পর্ক নতুন নয়। ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে চীন থেকে উত্তর কোরিয়ার মাধ্যমে এইচওয়াই-২ সিল্কওয়ার্ম ক্রুজ মিসাইল সংগ্রহ করেছিল ইরান, যা তারা ইরাক যুদ্ধের সময় ব্যবহার করে কুয়েত ও মার্কিন পতাকাবাহী একটি তেল ট্যাঙ্কারে হামলাও চালায়।

বর্তমানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানোকে তেহরান তার “কৌশলগত প্রয়োজন” হিসেবে দেখছে, এবং এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জেনেভায় রোহিঙ্গা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, অগ্রগতি তুলে ধরবে বাংলাদেশ

চীনা এইচকিউ-৯বি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের হাতে, তেল দিয়ে চুক্তি!

আপডেট সময় ০৭:৩৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

চীনের অত্যাধুনিক ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা এইচকিউ-৯বি এখন ইরানের হাতে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, ১২ দিনের সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের পর ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির (২৪ জুন) ঠিক পরপরই এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইরানে পৌঁছে যায়।

আরব গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো দ্রুত গড়ে তুলতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে তেহরান। তবে চীন সরাসরি যুদ্ধ জোটে না থাকলেও, এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ দু’দেশের সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্কের গভীরতা নির্দেশ করছে।

এক আরব কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্রগুলো বিষয়টি জানে এবং হোয়াইট হাউসকে সতর্ক করেছে। যদিও ঠিক কত ইউনিট ক্ষেপণাস্ত্র ইরান পেয়েছে তা জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, তেল বিনিময় চুক্তির মাধ্যমেই এই সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে।

ইরানের সঙ্গে চীনের সামরিক সম্পর্ক নতুন নয়। ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে চীন থেকে উত্তর কোরিয়ার মাধ্যমে এইচওয়াই-২ সিল্কওয়ার্ম ক্রুজ মিসাইল সংগ্রহ করেছিল ইরান, যা তারা ইরাক যুদ্ধের সময় ব্যবহার করে কুয়েত ও মার্কিন পতাকাবাহী একটি তেল ট্যাঙ্কারে হামলাও চালায়।

বর্তমানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানোকে তেহরান তার “কৌশলগত প্রয়োজন” হিসেবে দেখছে, এবং এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।