ঢাকা ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকসু নির্বাচন: ‘শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হতে চাই’ — ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৪২:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫২৪ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন আবু সাদিক কায়েম। নির্বাচনী প্রচার, ইশতেহার, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকাল-এর সঙ্গে।

সাদিক কায়েম বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া এবং গত এক বছরের ছাত্রবান্ধব কর্মকাণ্ড তাকে আশাবাদী করেছে। “আমরা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা শোনার চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের নেতৃত্ব ও কাজের ধারাবাহিকতার ওপর আস্থা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।”

বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য
অভিযোগ আছে—প্যানেলটি কেবল শিবিরকেন্দ্রিক। তবে সাদিকের দাবি, “আমরা সবাইকে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। যারা সমালোচনা করে, তারাও যুক্ত হয়েছেন। আমাদের শক্তি হলো শিক্ষার্থীরা।”

প্রধান প্রতিশ্রুতি: বিশ্ববিদ্যালয়কে একাডেমিক ইনস্টিটিউট বানানো
ভিপি প্রার্থী বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিক ইনস্টিটিউটের বদলে একাডেমিক ইনস্টিটিউট হতে হবে। এজন্য নিয়োগে মেধার ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষকদের মূল্যায়ন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংস্কার আনতে হবে।”

গবেষণায় জোর
বর্তমান বাজেটকে অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো হবে এবং তা দলীয় বিবেচনায় নয়, মেধার ভিত্তিতে বণ্টন করা হবে। শিক্ষার্থীরাও গবেষণা অনুদান পাবেন।

নারী শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গ
সাদিক কায়েম জানান, হিজাবি ও নন-হিজাবি—সবাই তাদের প্যানেলে আছে। “নারীদের আবাসন সংকট দূর করা আমাদের অগ্রাধিকার। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে নতুন হল নির্মাণ, স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে হোস্টেল ভাড়া ও বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”

মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গ
জামায়াতের বিতর্কিত অবস্থান নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা ’৭১-এর মাধ্যমে স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি। স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা আপসহীন। জামায়াতের ইস্যু জামায়াতই ডিল করবে।”

চ্যালেঞ্জ ও আশা
ভিপি প্রার্থী জানান, নির্বাচন কমিশনের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে সংশয় থাকলেও শিক্ষার্থীদের আস্থা তাকে আত্মবিশ্বাসী করছে। “জুলাই বিপ্লব থেকে শুরু করে বিগত এক বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য যে কাজ করেছি, তা সবাই দেখেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হতে চাই।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকসু নির্বাচন: ‘শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হতে চাই’ — ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম

আপডেট সময় ১০:৪২:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন আবু সাদিক কায়েম। নির্বাচনী প্রচার, ইশতেহার, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন সমকাল-এর সঙ্গে।

সাদিক কায়েম বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া এবং গত এক বছরের ছাত্রবান্ধব কর্মকাণ্ড তাকে আশাবাদী করেছে। “আমরা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা শোনার চেষ্টা করেছি। তারা আমাদের নেতৃত্ব ও কাজের ধারাবাহিকতার ওপর আস্থা রাখবে বলে বিশ্বাস করি।”

বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য
অভিযোগ আছে—প্যানেলটি কেবল শিবিরকেন্দ্রিক। তবে সাদিকের দাবি, “আমরা সবাইকে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। যারা সমালোচনা করে, তারাও যুক্ত হয়েছেন। আমাদের শক্তি হলো শিক্ষার্থীরা।”

প্রধান প্রতিশ্রুতি: বিশ্ববিদ্যালয়কে একাডেমিক ইনস্টিটিউট বানানো
ভিপি প্রার্থী বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিক ইনস্টিটিউটের বদলে একাডেমিক ইনস্টিটিউট হতে হবে। এজন্য নিয়োগে মেধার ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষকদের মূল্যায়ন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংস্কার আনতে হবে।”

গবেষণায় জোর
বর্তমান বাজেটকে অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো হবে এবং তা দলীয় বিবেচনায় নয়, মেধার ভিত্তিতে বণ্টন করা হবে। শিক্ষার্থীরাও গবেষণা অনুদান পাবেন।

নারী শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গ
সাদিক কায়েম জানান, হিজাবি ও নন-হিজাবি—সবাই তাদের প্যানেলে আছে। “নারীদের আবাসন সংকট দূর করা আমাদের অগ্রাধিকার। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে নতুন হল নির্মাণ, স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে হোস্টেল ভাড়া ও বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”

মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গ
জামায়াতের বিতর্কিত অবস্থান নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা ’৭১-এর মাধ্যমে স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি। স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা আপসহীন। জামায়াতের ইস্যু জামায়াতই ডিল করবে।”

চ্যালেঞ্জ ও আশা
ভিপি প্রার্থী জানান, নির্বাচন কমিশনের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে সংশয় থাকলেও শিক্ষার্থীদের আস্থা তাকে আত্মবিশ্বাসী করছে। “জুলাই বিপ্লব থেকে শুরু করে বিগত এক বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য যে কাজ করেছি, তা সবাই দেখেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হতে চাই।”