ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ পবিত্র মুহাররমের প্রথম দিন, জুমার বরকতে মহিমাময় সূচনা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৪২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • ৫৪৭ বার পড়া হয়েছে

আজ শুক্রবার, ইসলামি বর্ষপঞ্জির নববর্ষের প্রথম দিন। পবিত্র মুহাররম মাসের ১ তারিখ। দিনটি মুসলিম উম্মাহর জন্য একইসাথে আত্মশুদ্ধি, ইতিহাসস্মরণ ও নতুন যাত্রার প্রতীক। বিশেষভাবে, বছরের সূচনা যদি জুমার দিনের মতো বরকতময় দিনে হয়—তবে এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব দ্বিগুণ হয়ে ওঠে।

মুহাররম হলো হিজরি বছরের প্রথম মাস এবং চারটি পবিত্র মাসের একটি, যাকে কুরআনে ‘আশহুরে হুরুম’ বলা হয়েছে। এ মাসে সওয়াবের কাজ বাড়িয়ে দেয়ার তাগিদ দেন রাসুল (সা.)। বিশেষ করে, এই মাস আত্মসংযম, ধৈর্য, প্রার্থনা ও আত্মশুদ্ধির অনন্য সুযোগ নিয়ে আসে।

মুহাররম শুধু সময়ের সূচনা নয়, বরং এটি মুসলিম ইতিহাসের গভীর বেদনাদায়ক এক অধ্যায়ের প্রতীকও। কারবালার প্রান্তরে রাসুলের দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবারবর্গের শাহাদাতের শোকবিহ্বল স্মৃতি এই মাসকে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। সেই সঙ্গে এটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রামের চিরন্তন অনুপ্রেরণাও বটে।

অন্যদিকে, আজকের দিনটি পড়েছে শুক্রবারে—যাকে বলা হয় ‘সপ্তাহের সেরা দিন’ বা ‘সপ্তাহের ঈদ’। হাদিসে বলা হয়েছে, জুমার দিন আল্লাহতায়ালা বান্দার প্রতি বিশেষ রহমত নাজিল করেন, দোয়া কবুল করেন এবং গুনাহ মাফ করেন।

একই দিনে মুহাররমের সূচনা এবং জুমার মিলন এক অপূর্ব সৌভাগ্য। এটি আত্মশুদ্ধি ও দোয়ার একটি দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে মুসলিমদের জন্য। আজকের দিনে অনেকে নফল রোজা, দোয়া, তওবা এবং কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বছরটি শুরু করার চেষ্টা করছেন।

ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, যারা বছরের শুরুতে নিজেকে পরিবর্তনের অঙ্গীকার করে, তারা পুরো বছর সঠিক পথে থাকার শক্তি পান। মুহাররমের এই পবিত্র আগমন ও জুমার বরকতপূর্ণ পরিবেশ আমাদের সকলকে আত্মবিশ্লেষণের সুযোগ এনে দিয়েছে—আমরা কী ভুল করেছি, কী করতে পারতাম এবং নতুন বছরে কীভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে চলতে পারি।

এই বার্তাই যেন আজকের দিনটির মূল শিক্ষা—আত্মসংযম, ত্যাগ ও ন্যায়ের পথে দৃঢ়তা নিয়ে নতুন বছরে পদার্পণ।

জনপ্রিয় সংবাদ

ওমরাহ করতে গিয়ে সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু

আজ পবিত্র মুহাররমের প্রথম দিন, জুমার বরকতে মহিমাময় সূচনা

আপডেট সময় ০৯:৪২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

আজ শুক্রবার, ইসলামি বর্ষপঞ্জির নববর্ষের প্রথম দিন। পবিত্র মুহাররম মাসের ১ তারিখ। দিনটি মুসলিম উম্মাহর জন্য একইসাথে আত্মশুদ্ধি, ইতিহাসস্মরণ ও নতুন যাত্রার প্রতীক। বিশেষভাবে, বছরের সূচনা যদি জুমার দিনের মতো বরকতময় দিনে হয়—তবে এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব দ্বিগুণ হয়ে ওঠে।

মুহাররম হলো হিজরি বছরের প্রথম মাস এবং চারটি পবিত্র মাসের একটি, যাকে কুরআনে ‘আশহুরে হুরুম’ বলা হয়েছে। এ মাসে সওয়াবের কাজ বাড়িয়ে দেয়ার তাগিদ দেন রাসুল (সা.)। বিশেষ করে, এই মাস আত্মসংযম, ধৈর্য, প্রার্থনা ও আত্মশুদ্ধির অনন্য সুযোগ নিয়ে আসে।

মুহাররম শুধু সময়ের সূচনা নয়, বরং এটি মুসলিম ইতিহাসের গভীর বেদনাদায়ক এক অধ্যায়ের প্রতীকও। কারবালার প্রান্তরে রাসুলের দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবারবর্গের শাহাদাতের শোকবিহ্বল স্মৃতি এই মাসকে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। সেই সঙ্গে এটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রামের চিরন্তন অনুপ্রেরণাও বটে।

অন্যদিকে, আজকের দিনটি পড়েছে শুক্রবারে—যাকে বলা হয় ‘সপ্তাহের সেরা দিন’ বা ‘সপ্তাহের ঈদ’। হাদিসে বলা হয়েছে, জুমার দিন আল্লাহতায়ালা বান্দার প্রতি বিশেষ রহমত নাজিল করেন, দোয়া কবুল করেন এবং গুনাহ মাফ করেন।

একই দিনে মুহাররমের সূচনা এবং জুমার মিলন এক অপূর্ব সৌভাগ্য। এটি আত্মশুদ্ধি ও দোয়ার একটি দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে মুসলিমদের জন্য। আজকের দিনে অনেকে নফল রোজা, দোয়া, তওবা এবং কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বছরটি শুরু করার চেষ্টা করছেন।

ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, যারা বছরের শুরুতে নিজেকে পরিবর্তনের অঙ্গীকার করে, তারা পুরো বছর সঠিক পথে থাকার শক্তি পান। মুহাররমের এই পবিত্র আগমন ও জুমার বরকতপূর্ণ পরিবেশ আমাদের সকলকে আত্মবিশ্লেষণের সুযোগ এনে দিয়েছে—আমরা কী ভুল করেছি, কী করতে পারতাম এবং নতুন বছরে কীভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে চলতে পারি।

এই বার্তাই যেন আজকের দিনটির মূল শিক্ষা—আত্মসংযম, ত্যাগ ও ন্যায়ের পথে দৃঢ়তা নিয়ে নতুন বছরে পদার্পণ।