চলমান ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও ৮৫টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ)। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কামরা বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর সামা টিভির।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৬ ও ৭ মে রাতে ষষ্ঠ বিমানটি ভূপাতিত করার মাধ্যমে পাকিস্তান বিমান বাহিনী এক অনন্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। এটি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর দৃঢ় সংকল্প ও অপারেশনাল সক্ষমতার প্রতিফলন।”
পিএএফ জানায়, ধ্বংস হওয়া যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফায়েল, একটি সুখোই এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি মিরাজ-২০০০। এছাড়া, মানববিহীন ৮৫টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি ছিল ইসরায়েলি-নির্মিত হেরন ইউএভি ও ৮৪টি কোয়াডকপ্টার ও নজরদারি ড্রোন।
পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পিএএফ-এর এয়ার ভাইস মার্শাল (এভিএম) আওরঙ্গজেব আহমেদ বলেন, “সাম্প্রতিক সংঘর্ষে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ৬-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “পিএএফ সর্বোচ্চ প্রস্তুতির মধ্যে থেকেই প্রতিটি হামলার জবাব দিয়েছে এবং শত্রু বাহিনীকে লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।”
পিএএফ জানায়, ভারতীয় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্র্যাক করে তাদের সিগন্যাল ব্যাহত করা হয় এবং সফলভাবে ধ্বংস করা হয়।
প্রসঙ্গত, ৭ মে ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তান ও আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালায়। ইসলামাবাদ জানায়, এতে অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও ডজনখানেক ড্রোন ধ্বংস করে। সংঘর্ষে পাকিস্তানের তথ্যমতে, ভারতের ১১ সেনা ও ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ফের যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।