ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি: কৌশলগত বিরতিতে তেহরান, দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতির ইঙ্গিত

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৪৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • ৫৬৮ বার পড়া হয়েছে

১২ দিনের টানা সংঘাতের পর অবশেষে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়, তবে এটি টেকসই শান্তির সূচনা নয় বলে মনে করছে তেহরান। বরং ইরান এই বিরতিকে দেখছে একটি কৌশলগত সাময়িক বিরতি হিসেবে, যার মাধ্যমে তারা নিজেদের পুনর্বিন্যাস ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতির সুযোগ নিচ্ছে।

তেহরানের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইরান এখনো ‘স্ট্র্যাটেজিক পেশেন্স’ বা কৌশলগত ধৈর্যের নীতিতে বিশ্বাসী। এর আওতায় তারা সরাসরি পাল্টা আঘাতের চেয়ে দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনায় অগ্রসর হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি অনেকটাই ১৯৮০’র দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময়কার কৌশলের পুনরাবৃত্তি, যেখানে ইরান ধৈর্যের সঙ্গে সময়কে তাদের পক্ষে কাজে লাগাতে পেরেছিল।

যদিও সামরিক দিক থেকে ইসরায়েল এই যুদ্ধে নিজেদের ‘জয়ী’ বলে দাবি করেছে, তবে ইরান তা মানতে নারাজ। বরং তেহরান এই যুদ্ধকে এক ধরনের ‘ইমপোজড ওয়ার’ বা চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ হিসেবে দেখছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছিল মূল চালিকা শক্তি।

সাম্প্রতিক এই সংঘাতে ইরান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বেশ কিছু আঞ্চলিক মিলিশিয়া গোষ্ঠীর মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক বিরতি হলেও মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এখনো প্রশমিত হয়নি। বরং এই বিরতি নতুন করে সামরিক প্রস্তুতি ও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ইরানি নেতৃত্ব বিশ্বাস করে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজয় সম্ভব, আর সেই সময়কে কাজে লাগাতেই তারা আপাতত যুদ্ধ থেকে সরে এসে নিজেদের কৌশলগত পুনর্গঠনে মনোযোগী হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

“দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না”— এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি: কৌশলগত বিরতিতে তেহরান, দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতির ইঙ্গিত

আপডেট সময় ০৯:৪৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

১২ দিনের টানা সংঘাতের পর অবশেষে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়, তবে এটি টেকসই শান্তির সূচনা নয় বলে মনে করছে তেহরান। বরং ইরান এই বিরতিকে দেখছে একটি কৌশলগত সাময়িক বিরতি হিসেবে, যার মাধ্যমে তারা নিজেদের পুনর্বিন্যাস ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতির সুযোগ নিচ্ছে।

তেহরানের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইরান এখনো ‘স্ট্র্যাটেজিক পেশেন্স’ বা কৌশলগত ধৈর্যের নীতিতে বিশ্বাসী। এর আওতায় তারা সরাসরি পাল্টা আঘাতের চেয়ে দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনায় অগ্রসর হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি অনেকটাই ১৯৮০’র দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময়কার কৌশলের পুনরাবৃত্তি, যেখানে ইরান ধৈর্যের সঙ্গে সময়কে তাদের পক্ষে কাজে লাগাতে পেরেছিল।

যদিও সামরিক দিক থেকে ইসরায়েল এই যুদ্ধে নিজেদের ‘জয়ী’ বলে দাবি করেছে, তবে ইরান তা মানতে নারাজ। বরং তেহরান এই যুদ্ধকে এক ধরনের ‘ইমপোজড ওয়ার’ বা চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ হিসেবে দেখছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছিল মূল চালিকা শক্তি।

সাম্প্রতিক এই সংঘাতে ইরান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বেশ কিছু আঞ্চলিক মিলিশিয়া গোষ্ঠীর মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক বিরতি হলেও মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এখনো প্রশমিত হয়নি। বরং এই বিরতি নতুন করে সামরিক প্রস্তুতি ও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ইরানি নেতৃত্ব বিশ্বাস করে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজয় সম্ভব, আর সেই সময়কে কাজে লাগাতেই তারা আপাতত যুদ্ধ থেকে সরে এসে নিজেদের কৌশলগত পুনর্গঠনে মনোযোগী হয়েছে।