এবার বাংলাদেশের দুটো চিকেন’স নেক আছে উল্লেখ করে সেগুলোতে হামলার হুমকি দিয়েছেন ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। বুধবার (২১ মে) দেরগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
খবরে উল্লেখ করা হয়, ভারতে শিলিগুড়ি করিডোর বা চিকেন’স নেক নিয়ে বিগত দিনে সংশয় দেখা গেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরে লালমনিরহাটে চীনের সাহায্যে বিমান বাহিনী ঘাঁটি নির্মাণের খবরে ভারতের সেই সংশয় আরো বেড়েছে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রীকে। তারই জবাবে বাংলাদেশকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন হিমন্ত।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘ভারতের একটা চিকেন’স নেক আছে, আর বাংলাদেশের দুটো চিকেন’স নেক আছে। বাংলাদেশ যদি আমার একটা চিকেন’স নেকে হামলা করে তাহলে আমরা তাদের দুটো চিকেন’স নেকে হামলা করে দেব। তাদের মেঘালয়তে একটা চিকেন’স নেক। আর একটা চিকেন নেক তাদের চট্টগ্রাম বন্দরের ওখানে। সেটা আমাদের চিকেন’স নেক থেকেও সংকীর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের চিকেন’স নেক তো এতটাই সংকীর্ণ যে সেটা মাত্র একটা ঢিল মারার দূরত্ব। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের চিকেন’স নেক নিয়ে যখন কথা বলছি, তখন সেটা আমাদের অভ্যন্তরীণ নীতি এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যে বলি। ভারত সরকার যাতে এখানে টানেল এবং বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করে। আমাদের চিকেন’স নেকে কেউ হাত দেয়ার সাহস করবে না।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিলং থেকে আসমের শিলচর পর্যন্ত ১৬৬.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি হাইওয়ে নির্মাণে সবুজ সংকেত দিয়েছে ভারত সরকার। যা আসামসহ উত্তর-পূর্বের পরিবহনের ক্ষেত্রে বড় রকমের পরিবর্তন আনবে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের পর মানুষ বুঝেছে যে ভারত কতটা শক্তিশালী রাষ্ট্র। আমি পরমাণু শক্তির বিষয়টা তো না হয় না-ই তুললাম। বাংলাদেশ যদি ভারতে হামলা করার কথাও ভাবে তাহলে তার আগে তাদের একাধিকবার পুনর্জন্ম নিতে হবে। আর বাংলাদেশকে এত গুরুত্ব দিয়ে কথা বলার কিছু নেই। ওরা খুবই ছোট একটা দেশ। ভারতের সাথে তাদের তুলনা নেই।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে চীন সফরের সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখ করেছিলেন যে, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো ‘ল্যান্ডলকড’। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশই একমাত্র অভিভাবক। তার এমন মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হয়েছে ভারত। এখন তারা শিলং-শিলচর হাইওয়ে এবং কালাদান প্রকল্পের মাধ্যমে শিলিগুড়ি করিডোর বা চিকেন’স নেকের ওপরে নির্ভরশীলতা কমাতে কাজ করছে।