ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাতক আসামি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর দুটি উপায় জানালেন চিফ প্রসিকিউটর

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:৫১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ৬০০ বার পড়া হয়েছে

জুলাই গণহত্যার মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর দুটি আইনি প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এই তথ্য তুলে ধরেন।

এর আগে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল ঐতিহাসিক এ রায় ঘোষণা করেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

রায় পরবর্তী ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, পলাতক দুই আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব দুই উপায়ে। প্রথমটি হলো বাংলাদেশ-ভারত অপরাধী বহিঃসমর্পণ চুক্তি ২০১৩–এর আওতায় প্রত্যর্পণ। তিনি বলেন, ‘এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করবে। ভারত আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখালে আসামিদের ফেরত দেবে এবং দেশে এনে তাদের দণ্ড কার্যকর করা সম্ভব হবে।’

দ্বিতীয় উপায় হিসেবে তিনি ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন। চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘যেহেতু ট্রাইব্যুনাল থেকে তাদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে, সেহেতু ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’

তিনি আরও জানান, পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার পরই রায় অনুযায়ী দণ্ড কার্যকর করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

পলাতক আসামি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর দুটি উপায় জানালেন চিফ প্রসিকিউটর

আপডেট সময় ০৬:৫১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই গণহত্যার মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর দুটি আইনি প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এই তথ্য তুলে ধরেন।

এর আগে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল ঐতিহাসিক এ রায় ঘোষণা করেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

রায় পরবর্তী ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, পলাতক দুই আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব দুই উপায়ে। প্রথমটি হলো বাংলাদেশ-ভারত অপরাধী বহিঃসমর্পণ চুক্তি ২০১৩–এর আওতায় প্রত্যর্পণ। তিনি বলেন, ‘এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করবে। ভারত আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখালে আসামিদের ফেরত দেবে এবং দেশে এনে তাদের দণ্ড কার্যকর করা সম্ভব হবে।’

দ্বিতীয় উপায় হিসেবে তিনি ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন। চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘যেহেতু ট্রাইব্যুনাল থেকে তাদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে, সেহেতু ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’

তিনি আরও জানান, পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার পরই রায় অনুযায়ী দণ্ড কার্যকর করা হবে।