ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না, শুধু বিনিয়োগ চাচ্ছি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে হস্তান্তর করা হচ্ছে না, বরং বন্দরকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আহ্বান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরকে আমরা সংস্কার করতে চাচ্ছি। বন্দর কাউকে দিচ্ছি না।”

রোববার (২৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ক্যাপিটাল মার্কেট সাংবাদিক ফোরাম (সিএমজেএফ)-এর ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলো যেন চট্টগ্রাম বন্দরকে পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, আমরা সেটিই চাই। আমরা বন্দর হস্তান্তর করছি না, বরং চাচ্ছি যে টার্মিনাল পরিচালনা এবং উন্নয়নে তারা বিনিয়োগ করুক।”

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বন্দর ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতা যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। এটি কোনোভাবেই অন্য কারো হাতে তুলে দেওয়া হবে না। সরকারের লক্ষ্য হলো—বন্দর পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধি, বাণিজ্য প্রসার এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা।”

অনুষ্ঠানে দেশের পুঁজিবাজার, অর্থনীতি এবং অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়েও আলোচনা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে নিজেকে অপরাধী ভাবব: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস”

চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না, শুধু বিনিয়োগ চাচ্ছি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

আপডেট সময় ১২:০৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে হস্তান্তর করা হচ্ছে না, বরং বন্দরকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আহ্বান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরকে আমরা সংস্কার করতে চাচ্ছি। বন্দর কাউকে দিচ্ছি না।”

রোববার (২৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ক্যাপিটাল মার্কেট সাংবাদিক ফোরাম (সিএমজেএফ)-এর ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলো যেন চট্টগ্রাম বন্দরকে পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, আমরা সেটিই চাই। আমরা বন্দর হস্তান্তর করছি না, বরং চাচ্ছি যে টার্মিনাল পরিচালনা এবং উন্নয়নে তারা বিনিয়োগ করুক।”

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বন্দর ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতা যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। এটি কোনোভাবেই অন্য কারো হাতে তুলে দেওয়া হবে না। সরকারের লক্ষ্য হলো—বন্দর পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধি, বাণিজ্য প্রসার এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা।”

অনুষ্ঠানে দেশের পুঁজিবাজার, অর্থনীতি এবং অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়েও আলোচনা হয়।