ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের মামলার আপিলের রায় ঘোষণা রবিবার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:৪০:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • ৫৬৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল, রবিবার (১ জুন)। মামলাটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে বহুল আলোচিত রায়

এর আগে গত ১৪ মে চার দিনের শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য আগামী ১ জুন দিন ধার্য করেন। জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

শুনানির সময় জামায়াতের শীর্ষ নেতারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইনসহ ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

পেছনের পটভূমি

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে সাময়িকভাবে নিবন্ধন দেয়। কিন্তু ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও সম্মিলিত ইসলামী জোটের পক্ষ থেকে জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেন। আদালত বলেন, নিবন্ধনটি আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূতভাবে দেওয়া হয়েছে। ওই বছরই আপিলের আবেদন করলেও চেম্বার আদালত আবেদন খারিজ করে।

পরে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগও আবেদন খারিজ করে দেয়। শুনানিতে জামায়াতের আইনজীবীরা উপস্থিত না থাকায় মামলাটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে খারিজ হয়।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও মামলার পুনরুজ্জীবন

২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পুনঃনির্বাচনের পর কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ১ আগস্ট সরকার জামায়াতে ইসলামীর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

তবে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ২৮ আগস্ট সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এরপর জামায়াত আপিল বিভাগে মামলাটি পুনরুজ্জীবনের আবেদন করে এবং আদালত বিলম্ব মার্জনা করে ২২ অক্টোবর আবেদন মঞ্জুর করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ওমরাহ করতে গিয়ে সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের মামলার আপিলের রায় ঘোষণা রবিবার

আপডেট সময় ১০:৪০:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল, রবিবার (১ জুন)। মামলাটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে বহুল আলোচিত রায়

এর আগে গত ১৪ মে চার দিনের শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য আগামী ১ জুন দিন ধার্য করেন। জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

শুনানির সময় জামায়াতের শীর্ষ নেতারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইনসহ ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

পেছনের পটভূমি

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে সাময়িকভাবে নিবন্ধন দেয়। কিন্তু ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও সম্মিলিত ইসলামী জোটের পক্ষ থেকে জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেন। আদালত বলেন, নিবন্ধনটি আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূতভাবে দেওয়া হয়েছে। ওই বছরই আপিলের আবেদন করলেও চেম্বার আদালত আবেদন খারিজ করে।

পরে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগও আবেদন খারিজ করে দেয়। শুনানিতে জামায়াতের আইনজীবীরা উপস্থিত না থাকায় মামলাটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে খারিজ হয়।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও মামলার পুনরুজ্জীবন

২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পুনঃনির্বাচনের পর কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ১ আগস্ট সরকার জামায়াতে ইসলামীর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

তবে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ২৮ আগস্ট সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এরপর জামায়াত আপিল বিভাগে মামলাটি পুনরুজ্জীবনের আবেদন করে এবং আদালত বিলম্ব মার্জনা করে ২২ অক্টোবর আবেদন মঞ্জুর করেন।