ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান জানালো ‘অদৃশ্য ক্ষেপণাস্ত্র’ দিয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা ঘাঁটিতে হামলা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • ৫৪১ বার পড়া হয়েছে

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ইরান দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা ঘাঁটিতে হামলার সময় নতুন ধরনের ‘শনাক্ত করা যায় না’ এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) এই তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এবং ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজা তালায়ি-নিক এক বিবৃতিতে বলেন, “আজকের হামলায় আমরা এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছি, যেগুলো ট্র্যাক বা প্রতিহত করা যায় না। এসব ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক স্তরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম।” তিনি আরও বলেন, “এই হামলা ইসরায়েলের জন্য ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এবং ভবিষ্যতেও এমন আরও আঘাত তারা দেখতে পাবে।”

প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও কৌশলগত হুমকি
তেহরান দাবি করেছে, এই হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে সেগুলো রাডারে ধরা পড়ে না এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহজেই ভেদ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, যদি ইরানের এই দাবি সত্যি হয়, তবে এটি গোটা অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্যে এক গুরুতর পরিবর্তন আনতে পারে।

লক্ষ্যবস্তু ছিল ইসরায়েলের গোয়েন্দা ও পরিকল্পনা কেন্দ্র
ইরান আগেই জানিয়েছিল, তাদের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘আমান’-এর লজিস্টিকস সদরদপ্তর এবং মসাদের সন্ত্রাস পরিকল্পনা ইউনিট ছিল এই হামলার মূল লক্ষ্য। গ্লিলট এলাকায় অবস্থিত এসব স্থাপনায় ভোররাতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।

‘দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় ইসরায়েল’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তালায়ি-নিক আরও বলেন, “ইহুদিবাদী সরকার দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়। আমরা আমাদের কিছু উন্নত প্রযুক্তি এখনো ব্যবহারই করিনি। প্রয়োজন হলে সেগুলোর ব্যবহারে আরও ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে।”

নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত
এই ঘোষণার পর মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের এই নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের তথ্য যদি সত্য হয়, তবে তা ইসরায়েলসহ সমগ্র পশ্চিম এশিয়ার প্রতিরক্ষা কাঠামোর জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার পরবর্তী ধাপের দিকে, যা আগামী দিনগুলোতে আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবি ছাত্রদলের ১২ নেতাকর্মীকে একযোগে অব্যাহতি, কারণ দায়িত্বে অবহেলা

ইরান জানালো ‘অদৃশ্য ক্ষেপণাস্ত্র’ দিয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা ঘাঁটিতে হামলা

আপডেট সময় ০৬:০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ইরান দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা ঘাঁটিতে হামলার সময় নতুন ধরনের ‘শনাক্ত করা যায় না’ এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) এই তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এবং ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা।

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজা তালায়ি-নিক এক বিবৃতিতে বলেন, “আজকের হামলায় আমরা এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছি, যেগুলো ট্র্যাক বা প্রতিহত করা যায় না। এসব ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক স্তরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম।” তিনি আরও বলেন, “এই হামলা ইসরায়েলের জন্য ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এবং ভবিষ্যতেও এমন আরও আঘাত তারা দেখতে পাবে।”

প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও কৌশলগত হুমকি
তেহরান দাবি করেছে, এই হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে সেগুলো রাডারে ধরা পড়ে না এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহজেই ভেদ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, যদি ইরানের এই দাবি সত্যি হয়, তবে এটি গোটা অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্যে এক গুরুতর পরিবর্তন আনতে পারে।

লক্ষ্যবস্তু ছিল ইসরায়েলের গোয়েন্দা ও পরিকল্পনা কেন্দ্র
ইরান আগেই জানিয়েছিল, তাদের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘আমান’-এর লজিস্টিকস সদরদপ্তর এবং মসাদের সন্ত্রাস পরিকল্পনা ইউনিট ছিল এই হামলার মূল লক্ষ্য। গ্লিলট এলাকায় অবস্থিত এসব স্থাপনায় ভোররাতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।

‘দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় ইসরায়েল’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তালায়ি-নিক আরও বলেন, “ইহুদিবাদী সরকার দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়। আমরা আমাদের কিছু উন্নত প্রযুক্তি এখনো ব্যবহারই করিনি। প্রয়োজন হলে সেগুলোর ব্যবহারে আরও ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে।”

নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত
এই ঘোষণার পর মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের এই নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের তথ্য যদি সত্য হয়, তবে তা ইসরায়েলসহ সমগ্র পশ্চিম এশিয়ার প্রতিরক্ষা কাঠামোর জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার পরবর্তী ধাপের দিকে, যা আগামী দিনগুলোতে আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।