ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে চীনের ভূমিকা অস্বীকার করল ইসলামাবাদ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • ৬০৫ বার পড়া হয়েছে

গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘাতের সময় চীনের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে সক্রিয় সহায়তা দেওয়া হয়েছিল—ভারতের এমন অভিযোগ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। সোমবার (৭ জুলাই) তিনি এই বক্তব্য দেন।

নয়াদিল্লির অভিযোগ অনুযায়ী, চীন ইসলামাবাদকে গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় সামরিক অবস্থান সম্পর্কে ‘সরাসরি ইনপুট’ সরবরাহ করেছিল বলে মন্তব্য করেছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল সিং।

তবে ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা ও যুদ্ধ কোর্সের স্নাতক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণে সেনাপ্রধান আসিম মুনির বলেন, “বহিরাগত সহায়তা নিয়ে যেসব ধারণা ছড়ানো হচ্ছে, তা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বাস্তবতাবিরোধী।”

পাকিস্তানি কর্মকর্তারাও পূর্বে একই ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। উল্লেখ্য, বেইজিং ও ইসলামাবাদের মধ্যে বহুদিনের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে, বিশেষ করে পাকিস্তানের জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে বিপুল চীনা বিনিয়োগ রয়েছে।

এদিকে, ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সীমান্ত সংঘর্ষের পর চীন-ভারত সম্পর্ক বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যায়, যার ফলে দীর্ঘ চার বছরের সামরিক অচলাবস্থা তৈরি হয়। তবে ২০২৪ সালের অক্টোবরে একটি পারস্পরিক প্রত্যাহারের চুক্তির মাধ্যমে উভয় পক্ষই উত্তেজনা প্রশমনে সম্মত হয়।

গত মে মাসে চার দিনের সংঘাতে ভারত ও পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং কামান ব্যবহার করে, যা সাম্প্রতিক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত হয়।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

জেনেভায় রোহিঙ্গা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, অগ্রগতি তুলে ধরবে বাংলাদেশ

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে চীনের ভূমিকা অস্বীকার করল ইসলামাবাদ

আপডেট সময় ০৯:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘাতের সময় চীনের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে সক্রিয় সহায়তা দেওয়া হয়েছিল—ভারতের এমন অভিযোগ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। সোমবার (৭ জুলাই) তিনি এই বক্তব্য দেন।

নয়াদিল্লির অভিযোগ অনুযায়ী, চীন ইসলামাবাদকে গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় সামরিক অবস্থান সম্পর্কে ‘সরাসরি ইনপুট’ সরবরাহ করেছিল বলে মন্তব্য করেছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল সিং।

তবে ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা ও যুদ্ধ কোর্সের স্নাতক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণে সেনাপ্রধান আসিম মুনির বলেন, “বহিরাগত সহায়তা নিয়ে যেসব ধারণা ছড়ানো হচ্ছে, তা দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বাস্তবতাবিরোধী।”

পাকিস্তানি কর্মকর্তারাও পূর্বে একই ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। উল্লেখ্য, বেইজিং ও ইসলামাবাদের মধ্যে বহুদিনের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে, বিশেষ করে পাকিস্তানের জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে বিপুল চীনা বিনিয়োগ রয়েছে।

এদিকে, ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সীমান্ত সংঘর্ষের পর চীন-ভারত সম্পর্ক বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যায়, যার ফলে দীর্ঘ চার বছরের সামরিক অচলাবস্থা তৈরি হয়। তবে ২০২৪ সালের অক্টোবরে একটি পারস্পরিক প্রত্যাহারের চুক্তির মাধ্যমে উভয় পক্ষই উত্তেজনা প্রশমনে সম্মত হয়।

গত মে মাসে চার দিনের সংঘাতে ভারত ও পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং কামান ব্যবহার করে, যা সাম্প্রতিক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত হয়।