ঢাকা ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে ৪৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডার পেলেন উল্লাস পাল

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:২৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৫২৮ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরের কার্তিকপুরের মৃৎশিল্পী পরিবারে জন্ম নেওয়া উল্লাস পাল শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সব সীমা অতিক্রম করে ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে তার প্রথম পছন্দ—প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। জন্ম থেকেই হাত–পা বাঁকা, ডান হাতে কার্যত কোনো শক্তি নেই; তবু শিক্ষা ও পেশাজীবনের প্রতিটি ধাপেই তিনি সাধারণ প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এগিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায়ও তিনি প্রতিবন্ধী কোটা নেননি, আর বিসিএস প্রস্তুতিতে কখনোই কোটা বিবেচনা করেননি।

স্কুলে কাদামাটির পথে বাবার কোলে চড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করা—সবই হয়েছে কঠোর অধ্যবসায়ে। ৪০তম, ৪১তম ও ৪৩তম বিসিএসে অংশ নিয়ে একাধিকবার সাফল্যের কাছাকাছি পৌঁছলেও কাঙ্ক্ষিত প্রশাসন ক্যাডার মেলেনি; ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ পেয়ে তিনি নড়িয়া সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। অবশেষে ৪৪তম বিসিএসে মেধা, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন প্রশাসন ক্যাডার।

উল্লাস বলেন, “শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কারও হাতের বিষয় নয়; নেতিবাচক কথা বলে কাউকে ছোট করা উচিত নয়। আমি সব সময় নিজেকে অন্য দশজনের মতোই সুস্থ ভেবেছি।” তিনি আগামীর বিসিএস hopeful‑দের উদ্দেশে পরামর্শ দেন—জয়ের পথ দীর্ঘ, অন্তত পাঁচ বছর সময় ধরে পরিকল্পিত প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।

গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে তাঁর শিক্ষক, সহকর্মী—সবাই এই সাফল্যে আনন্দিত ও গর্বিত। উল্লাসের গল্প প্রমাণ করে, দৃঢ় মনোবল আর অক্লান্ত পরিশ্রম শারীরিক সীমাবদ্ধতার দেয়াল ভেঙে স্বপ্নপূরণ সম্ভব করে তোলে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময়, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি

শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে ৪৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডার পেলেন উল্লাস পাল

আপডেট সময় ০৮:২৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

শরীয়তপুরের কার্তিকপুরের মৃৎশিল্পী পরিবারে জন্ম নেওয়া উল্লাস পাল শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সব সীমা অতিক্রম করে ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে তার প্রথম পছন্দ—প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। জন্ম থেকেই হাত–পা বাঁকা, ডান হাতে কার্যত কোনো শক্তি নেই; তবু শিক্ষা ও পেশাজীবনের প্রতিটি ধাপেই তিনি সাধারণ প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এগিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায়ও তিনি প্রতিবন্ধী কোটা নেননি, আর বিসিএস প্রস্তুতিতে কখনোই কোটা বিবেচনা করেননি।

স্কুলে কাদামাটির পথে বাবার কোলে চড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করা—সবই হয়েছে কঠোর অধ্যবসায়ে। ৪০তম, ৪১তম ও ৪৩তম বিসিএসে অংশ নিয়ে একাধিকবার সাফল্যের কাছাকাছি পৌঁছলেও কাঙ্ক্ষিত প্রশাসন ক্যাডার মেলেনি; ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ পেয়ে তিনি নড়িয়া সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। অবশেষে ৪৪তম বিসিএসে মেধা, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন প্রশাসন ক্যাডার।

উল্লাস বলেন, “শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কারও হাতের বিষয় নয়; নেতিবাচক কথা বলে কাউকে ছোট করা উচিত নয়। আমি সব সময় নিজেকে অন্য দশজনের মতোই সুস্থ ভেবেছি।” তিনি আগামীর বিসিএস hopeful‑দের উদ্দেশে পরামর্শ দেন—জয়ের পথ দীর্ঘ, অন্তত পাঁচ বছর সময় ধরে পরিকল্পিত প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।

গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে তাঁর শিক্ষক, সহকর্মী—সবাই এই সাফল্যে আনন্দিত ও গর্বিত। উল্লাসের গল্প প্রমাণ করে, দৃঢ় মনোবল আর অক্লান্ত পরিশ্রম শারীরিক সীমাবদ্ধতার দেয়াল ভেঙে স্বপ্নপূরণ সম্ভব করে তোলে।