ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“সংস্কার ছাড়া নির্বাচন মানেই আবার গণঅভ্যুত্থান”—সতর্ক করলেন নুরুল হক নুর

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৫:১৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • ৫৫৩ বার পড়া হয়েছে

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রের পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া তড়িঘড়ি করে নির্বাচন আয়োজন করলে দেশে আবারও গণঅভ্যুত্থান ঘটতে পারে।

রোববার (৬ জুলাই) রাজধানীতে আয়োজিত ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নুর বলেন, “জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে নিরাপত্তাকে সুসংহত করা সম্ভব। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বহু সংকট স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সমাধান হয়নি। তা প্রমাণ করে—রাষ্ট্র পরিচালনায় বড় ধরনের কাঠামোগত ব্যর্থতা ও ঐক্যের অভাব রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বা পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তনের প্রবণতা থাকে, যা জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে। তাই রাষ্ট্রের কোন কোন নীতিকাঠামোতে রাজনৈতিক ঐক্য অপরিহার্য—সে বিষয়ে এখনই সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।”

আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করে নুর বলেন, “পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ যেন আর কখনো রাজনীতিতে কামব্যাক করতে না পারে—এই বিষয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সবার অবস্থান পরিষ্কার হওয়া জরুরি।”
তার অভিযোগ, “আওয়ামী লীগ বারবার বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে এবং গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে।”

নুরুল হক নুর জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং জনগণের প্রত্যাশানির্ভর রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সহযোগিতায় প্রাণ বাঁচলো মা-নবজাতকের

“সংস্কার ছাড়া নির্বাচন মানেই আবার গণঅভ্যুত্থান”—সতর্ক করলেন নুরুল হক নুর

আপডেট সময় ০৫:১৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রের পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া তড়িঘড়ি করে নির্বাচন আয়োজন করলে দেশে আবারও গণঅভ্যুত্থান ঘটতে পারে।

রোববার (৬ জুলাই) রাজধানীতে আয়োজিত ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নুর বলেন, “জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে নিরাপত্তাকে সুসংহত করা সম্ভব। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বহু সংকট স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সমাধান হয়নি। তা প্রমাণ করে—রাষ্ট্র পরিচালনায় বড় ধরনের কাঠামোগত ব্যর্থতা ও ঐক্যের অভাব রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বা পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তনের প্রবণতা থাকে, যা জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে। তাই রাষ্ট্রের কোন কোন নীতিকাঠামোতে রাজনৈতিক ঐক্য অপরিহার্য—সে বিষয়ে এখনই সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।”

আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করে নুর বলেন, “পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ যেন আর কখনো রাজনীতিতে কামব্যাক করতে না পারে—এই বিষয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সবার অবস্থান পরিষ্কার হওয়া জরুরি।”
তার অভিযোগ, “আওয়ামী লীগ বারবার বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে এবং গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে।”

নুরুল হক নুর জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং জনগণের প্রত্যাশানির্ভর রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান জানান।