যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার ঘোষণা বাস্তবায়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। ৬ জুলাই (রোববার, বাংলাদেশ সময়) ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের (FEC) ওয়েবসাইটে ‘আমেরিকা পার্টি’‑র নামে একটি স্টেটমেন্ট অব অর্গানাইজেশন জমা পড়েছে। এতে টেসলার প্রধান অর্থ কর্মকর্তা বৈভব তানেজাকে দলীয় ট্রেজারার হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এর ঠিক আগের দিন, ৫ জুলাই শনিবার (স্থানীয় সময়) নিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স‑এ পোস্ট দিয়ে মাস্ক লিখেছিলেন, “আজ আমেরিকা পার্টির জন্ম হলো—আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে।” তিনি অভিযোগ করেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত করছাড় ও ব্যয়‑বৃদ্ধির আইন যুক্তরাষ্ট্রকে “দেউলিয়ার পথে ঠেলে দেবে।”
দল গঠনের পেছনে জনসমর্থনের ইঙ্গিত দিতে মাস্ক ৪ জুলাই এক্স‑এ একটি অনলাইন জরিপ চালান, যেখানে প্রায় ১২ লক্ষ ভোটের ৬৫ শতাংশের বেশি অংশগ্রহণকারী নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তায় একমত হন। মাস্ক সেই সমর্থনকে “২–১ ব্যবধানে জয়” আখ্যা দিয়ে আমেরিকা পার্টির ঘোষণা দেন।
ঘোষণার পর হোয়াইট হাউস বা ট্রাম্প শিবির থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না এলেও ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট মন্তব্য করেছেন, মাস্কের জনপ্রিয়তা “নতুন দল টিকিয়ে রাখতে যথেষ্ট নয়” এবং তিনি বরং ব্যবসায় মনোযোগী হওয়াই ভালো।
রিপাবলিকান অন্দরমহলে ইতোমধ্যে টেনশন বাড়ছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, ২০২৬ কংগ্রেস নির্বাচনে কয়েকটি অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনে আমেরিকা পার্টি তৃতীয় শক্তি হিসেবে মাঠে নামলে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা কঠিন হতে পারে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বলছে, মাস্ক ২০২৪ নির্বাচনে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার দান করেছিলেন; এ ধরনের বিনিয়োগ এবারও করলে শক্ত প্রভাব পড়তে পারে।