‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫’ উপলক্ষে দেশের ৬৩ জেলা ও রাজধানী ঢাকায় এলইডি স্ক্রিনে “জুলাই বিপ্লব” বিষয়ক ডকুমেন্টরি প্রদর্শন, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালি এবং স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ৫টি ড্রোন শো আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার জন্য স্থানীয় ও চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে ড্রোন ভাড়া নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে জানা যায়, প্রথম প্রস্তাবে ৫টি ড্রোন শো পরিচালনা ও প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পণ্য ও সেবা ক্যাটাগরিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের অনুমোদন চাওয়া হয়। দ্বিতীয় প্রস্তাবে ডকুমেন্টরি প্রদর্শনী, পোস্টার ও আমন্ত্রণপত্র মুদ্রণ, সাংস্কৃতিক আয়োজন ও স্মরণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্যও একই পদ্ধতিতে অনুমোদন চাওয়া হয়। উপদেষ্টা কমিটি উভয় প্রস্তাবে সম্মতি দেয়।
যদিও প্রকল্পের নির্দিষ্ট ব্যয়সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এ আয়োজনের মোট ব্যয় ৫ কোটি টাকারও বেশি হতে পারে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ৫ কোটি টাকার নিচে ব্যয় হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবের অনুমোদন যথেষ্ট, তবে অতিরিক্ত হলে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়—নরসিংদীর হাজিপুর মৌজার ৩.৪৫ একর জমি বিক্রির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জমির মালিকানা রয়েছে বিজেএমসি’র আওতাধীন লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস লিমিটেডের।
এইসব উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার ‘জুলাই বিপ্লব’কে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে পুনরুজ্জীবিত করতে চায়, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে গণতন্ত্র ও নাগরিক চেতনার বার্তা ছড়িয়ে দিতে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।