ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“আমরা কখনোই আত্মসমর্পণ করব না”—যুদ্ধবিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রকে খামেনির হুঁশিয়ারি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৪৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর প্রথমবারের মতো সরাসরি বক্তব্য দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন—ইরান কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না।

খামেনি বলেন, “আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইরানকে আত্মসমর্পণ করতেই হবে। কিন্তু বিষয়টা কেবল পরমাণু কার্যক্রম নয়—তারা চায় ইসলামি প্রজাতন্ত্রের আত্মা, আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনতাই যেন ধূলিসাৎ হয়। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি—এমনটা কখনোই হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। তারা ভেবেছিল, যদি হস্তক্ষেপ না করে, তবে জায়োনিস্ট শাসন (ইসরায়েল) সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তারা কিছুই পায়নি। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানই বিজয় অর্জন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মুখে জোরালো থাপ্পড় মেরেছে।”

খামেনির এই ভাষণকে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা একদিকে জাতির মনোবল দৃঢ় করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে একটি কৌশলগত বার্তা হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোটে অনিয়মে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

“আমরা কখনোই আত্মসমর্পণ করব না”—যুদ্ধবিরতির পর যুক্তরাষ্ট্রকে খামেনির হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ০৮:৪৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর প্রথমবারের মতো সরাসরি বক্তব্য দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন—ইরান কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না।

খামেনি বলেন, “আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইরানকে আত্মসমর্পণ করতেই হবে। কিন্তু বিষয়টা কেবল পরমাণু কার্যক্রম নয়—তারা চায় ইসলামি প্রজাতন্ত্রের আত্মা, আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনতাই যেন ধূলিসাৎ হয়। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি—এমনটা কখনোই হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। তারা ভেবেছিল, যদি হস্তক্ষেপ না করে, তবে জায়োনিস্ট শাসন (ইসরায়েল) সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তারা কিছুই পায়নি। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানই বিজয় অর্জন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মুখে জোরালো থাপ্পড় মেরেছে।”

খামেনির এই ভাষণকে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা একদিকে জাতির মনোবল দৃঢ় করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে একটি কৌশলগত বার্তা হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।