সাময়িক বিরতির কয়েকদিন পর যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র উল্লেখ করে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এবং রয়টার্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। নতুন করে পাঠানো অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১৫৫ মিমি আর্টিলারি শেল এবং নির্ভুল-নির্দেশিত জিএমএলআরএস রকেট।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মজুদ হ্রাসের কারণে ইউক্রেনে অস্ত্রের চালান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পেন্টাগন এই বিরতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা না দিলেও অভ্যন্তরীণভাবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেন্টাগন ও হোয়াইট হাউসের দুই কর্মকর্তা জানান, অস্ত্র সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি, বরং একটি কৌশলগত পর্যালোচনার অংশ হিসেবে কিছুদিন বিলম্ব হয়েছে। হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এটি ছিল শুধুমাত্র সামরিক সহায়তার কার্যকারিতা যাচাইয়ের অংশ, কোনো আনুষ্ঠানিক ‘বিরতি’ নয়।
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষামূলক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত থাকবে। তবে সাময়িক এই বিরতির বিষয়ে কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি। বরং তিনি পেন্টাগন ও হোয়াইট হাউসের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
তিনি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উচ্চমূল্য নিয়েও মন্তব্য করেন, যার একেকটি ইউনিটের দাম প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার। ট্রাম্প বলেন, “এটা লজ্জাজনক যে আমাদের ইউক্রেনকে সমর্থন করতে গিয়ে এত বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।”
অন্যদিকে, ক্রেমলিন বরাবরের মতোই পশ্চিমা অস্ত্র সহায়তার সমালোচনা করেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তির এমন পদক্ষেপ সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করছে এবং শান্তির সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।