ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপদেষ্টার পোস্টে সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর হুমকি দেখছেন জুলকারনাইন সায়ের

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস সংক্রান্ত সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন বিশিষ্ট অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। সোমবার রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি মন্তব্য করেন, “এই বক্তব্য শুধু সাংবাদিকতা সম্পর্কে অজ্ঞতাই নয়, বরং একটি বিপজ্জনক কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার প্রকাশ।”

সায়েরের মতে, আসিফ মাহমুদের ভাষা “হুমকিসূচক, সন্দেহপ্রবণ এবং গভীরভাবে গণতন্ত্রবিরোধী”। তিনি লিখেছেন, “সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হওয়াকে যদি সন্ত্রাস বা গুপ্তচরবৃত্তির সমতুল্য বলা হয়, তাহলে হয় উনি গণতন্ত্রের ন্যূনতম মূল্যবোধ বোঝেন না, নতুবা তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিকতা ও তথ্য প্রকাশকে অপরাধে পরিণত করতে চাইছেন।”

জুলকারনাইন আরও উল্লেখ করেন, বিশ্বজুড়ে হুইসেলব্লোয়ার ও অভ্যন্তরীণ উৎসগুলো বহুবার সাংবাদিকদের কাছে তথ্য ফাঁস করে ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ উন্মোচন ঘটিয়েছে—যেমন পেন্টাগন পেপারস, পানামা পেপারস বা উইকিলিকস। বাংলাদেশেও বহু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠান।

তার ভাষায়, “এই মানুষগুলোকে যদি জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি বা সন্ত্রাসী বলা হয়, তাহলে সেটা হবে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের একটি ঘৃণ্য কৌশল, যার উদ্দেশ্য ভিন্নমত ও সত্য প্রকাশ দমন করা।”

সায়ের আক্ষেপ করে বলেন, মন্ত্রী পদমর্যাদার একজন ব্যক্তি যখন বলেন, “বিমানবন্দরের একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি”—তখন প্রশ্ন ওঠে, প্রকৃত হুমকি কি তথ্য ফাঁস নাকি ব্যবস্থার দুর্বলতা?

এই মন্তব্যটি এমন এক সময়ে এলো, যখন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে একটি গুলির ম্যাগাজিনসহ বিমানবন্দরে ঘটনার পর তার অবস্থান ও ভাষা নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই বিক্রি হয়ে গেছে: আবু ত্ব-হা আদনান

উপদেষ্টার পোস্টে সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর হুমকি দেখছেন জুলকারনাইন সায়ের

আপডেট সময় ০৯:০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস সংক্রান্ত সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন বিশিষ্ট অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। সোমবার রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি মন্তব্য করেন, “এই বক্তব্য শুধু সাংবাদিকতা সম্পর্কে অজ্ঞতাই নয়, বরং একটি বিপজ্জনক কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার প্রকাশ।”

সায়েরের মতে, আসিফ মাহমুদের ভাষা “হুমকিসূচক, সন্দেহপ্রবণ এবং গভীরভাবে গণতন্ত্রবিরোধী”। তিনি লিখেছেন, “সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হওয়াকে যদি সন্ত্রাস বা গুপ্তচরবৃত্তির সমতুল্য বলা হয়, তাহলে হয় উনি গণতন্ত্রের ন্যূনতম মূল্যবোধ বোঝেন না, নতুবা তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিকতা ও তথ্য প্রকাশকে অপরাধে পরিণত করতে চাইছেন।”

জুলকারনাইন আরও উল্লেখ করেন, বিশ্বজুড়ে হুইসেলব্লোয়ার ও অভ্যন্তরীণ উৎসগুলো বহুবার সাংবাদিকদের কাছে তথ্য ফাঁস করে ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ উন্মোচন ঘটিয়েছে—যেমন পেন্টাগন পেপারস, পানামা পেপারস বা উইকিলিকস। বাংলাদেশেও বহু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠান।

তার ভাষায়, “এই মানুষগুলোকে যদি জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি বা সন্ত্রাসী বলা হয়, তাহলে সেটা হবে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের একটি ঘৃণ্য কৌশল, যার উদ্দেশ্য ভিন্নমত ও সত্য প্রকাশ দমন করা।”

সায়ের আক্ষেপ করে বলেন, মন্ত্রী পদমর্যাদার একজন ব্যক্তি যখন বলেন, “বিমানবন্দরের একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি”—তখন প্রশ্ন ওঠে, প্রকৃত হুমকি কি তথ্য ফাঁস নাকি ব্যবস্থার দুর্বলতা?

এই মন্তব্যটি এমন এক সময়ে এলো, যখন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে একটি গুলির ম্যাগাজিনসহ বিমানবন্দরে ঘটনার পর তার অবস্থান ও ভাষা নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।