ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভালুকা থানার নতুন ওসি হুমায়ুন কবীরের ‘ছাত্রলীগ যোগসূত্র’ নিয়ে ভেটিং বিতর্ক

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:০২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৫৭০ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ভালুকা মডেল থানার সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীরের অতীত রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশাসনে ও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। একাধিক সূত্র দাবি করছে, তিনি ২০০২ সালে সিলেটের লালা বাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এবং পরে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ছিলেন। সিলেটের সাবেক দুই পুলিশ কর্মকর্তা ওই পদধারনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলেও জানা গেছে। যদিও পুলিশের আরেকটি সূত্র বলছে, হুমায়ুন কখনো সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন না।

বিভিন্ন তথ্যের বৈপরীত্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, নিয়োগের পূর্ববর্তী ভেটিং প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমি কোনো ছাত্রলীগ করিনি। কেউ যদি আমার নামে এমন দাবি করে, সেটা তাদের ভুল হতে পারে।”

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আখতার উল আলম জানান, “পদায়নের আগে ভেটিং রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হবে, প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রশ্ন উঠছে, যদি তিনি সত্যিই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সাংগঠনিক পদে থেকেছিলেন, তবে কীভাবে একটি থানার সর্বোচ্চ দায়িত্বে আসীন হলেন? সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিষয়টি কেবল প্রশাসনিক ত্রুটি নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা এবং জবাবদিহিতার ক্ষেত্রেও গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

এর আগে ময়মনসিংহ জেলায় যেসব ওসি আওয়ামী আমলের নেতাদের গ্রেপ্তারে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন, তাদের একযোগে বদলি করা হয়েছে। বদলির পর আওয়ামীপন্থী গ্রেপ্তার কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। একই সময়ে জামিনে মুক্ত শতাধিক আওয়ামী কর্মীর ফের আত্মগোপনে যাওয়া, জেলগেটসংলগ্ন অর্থ লেনদেনের অভিযোগ ও অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁস—এসব নিয়েও প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনা দূতাবাসে এনসিপি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বিদায়ী সংবর্ধনা

ভালুকা থানার নতুন ওসি হুমায়ুন কবীরের ‘ছাত্রলীগ যোগসূত্র’ নিয়ে ভেটিং বিতর্ক

আপডেট সময় ০৯:০২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

ময়মনসিংহের ভালুকা মডেল থানার সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীরের অতীত রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশাসনে ও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। একাধিক সূত্র দাবি করছে, তিনি ২০০২ সালে সিলেটের লালা বাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এবং পরে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ছিলেন। সিলেটের সাবেক দুই পুলিশ কর্মকর্তা ওই পদধারনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলেও জানা গেছে। যদিও পুলিশের আরেকটি সূত্র বলছে, হুমায়ুন কখনো সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন না।

বিভিন্ন তথ্যের বৈপরীত্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, নিয়োগের পূর্ববর্তী ভেটিং প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমি কোনো ছাত্রলীগ করিনি। কেউ যদি আমার নামে এমন দাবি করে, সেটা তাদের ভুল হতে পারে।”

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আখতার উল আলম জানান, “পদায়নের আগে ভেটিং রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হবে, প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রশ্ন উঠছে, যদি তিনি সত্যিই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সাংগঠনিক পদে থেকেছিলেন, তবে কীভাবে একটি থানার সর্বোচ্চ দায়িত্বে আসীন হলেন? সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিষয়টি কেবল প্রশাসনিক ত্রুটি নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা এবং জবাবদিহিতার ক্ষেত্রেও গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

এর আগে ময়মনসিংহ জেলায় যেসব ওসি আওয়ামী আমলের নেতাদের গ্রেপ্তারে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন, তাদের একযোগে বদলি করা হয়েছে। বদলির পর আওয়ামীপন্থী গ্রেপ্তার কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। একই সময়ে জামিনে মুক্ত শতাধিক আওয়ামী কর্মীর ফের আত্মগোপনে যাওয়া, জেলগেটসংলগ্ন অর্থ লেনদেনের অভিযোগ ও অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁস—এসব নিয়েও প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ছে।