ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমার চিন্তা একটাই—জেলে গেলে হাই কমোড পাব তো?” — প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:১৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • ৫৪০ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম রোববার (২০ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন।

তিনি লিখেছেন, “আমার সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল, যদি কখনও গ্রেপ্তার হই, তাহলে কি জেলে হাই কমোড ব্যবহারের সুযোগ পাব?”

শফিকুল আলম জানান, গত বছরের গণঅভ্যুত্থান ও ছাত্র আন্দোলনের সময় তাকে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। লন্ডনভিত্তিক বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের এক সাংবাদিক তাকে প্রথম সতর্ক করেন— যে তাকে সন্ত্রাসীদের মুখপাত্র হিসেবে অভিযুক্ত করে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করছে সরকার।

সেই সময় ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও এএফপির দ্রুতগতির সংযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের ছবি, ভিডিও ও তথ্য পাঠাতে সাহায্য করেছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি লিখেছেন, “আমি তখন আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম, যদি গ্রেপ্তার হই, তাহলে যেন একজন ভালো আইনজীবী নিয়োগ করেন— যিনি নিশ্চিত করবেন আমি জেলে উঁচু কমোড ব্যবহার করতে পারি। এটা আমার জন্য ঠাট্টা নয়, বাস্তব প্রয়োজন।”

শফিকুল আরও বলেন, “আমি এএফপি, আল জাজিরা, বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কয়েকজন শীর্ষ সাংবাদিককে অনুরোধ করেছিলাম, যদি কিছু ঘটে, তারা যেন আমার হয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।”

জনপ্রিয় সংবাদ

গণগ্রেপ্তার নয়, দোষীদেরই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমার চিন্তা একটাই—জেলে গেলে হাই কমোড পাব তো?” — প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম

আপডেট সময় ০৯:১৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম রোববার (২০ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন।

তিনি লিখেছেন, “আমার সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল, যদি কখনও গ্রেপ্তার হই, তাহলে কি জেলে হাই কমোড ব্যবহারের সুযোগ পাব?”

শফিকুল আলম জানান, গত বছরের গণঅভ্যুত্থান ও ছাত্র আন্দোলনের সময় তাকে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। লন্ডনভিত্তিক বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের এক সাংবাদিক তাকে প্রথম সতর্ক করেন— যে তাকে সন্ত্রাসীদের মুখপাত্র হিসেবে অভিযুক্ত করে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করছে সরকার।

সেই সময় ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও এএফপির দ্রুতগতির সংযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের ছবি, ভিডিও ও তথ্য পাঠাতে সাহায্য করেছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি লিখেছেন, “আমি তখন আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম, যদি গ্রেপ্তার হই, তাহলে যেন একজন ভালো আইনজীবী নিয়োগ করেন— যিনি নিশ্চিত করবেন আমি জেলে উঁচু কমোড ব্যবহার করতে পারি। এটা আমার জন্য ঠাট্টা নয়, বাস্তব প্রয়োজন।”

শফিকুল আরও বলেন, “আমি এএফপি, আল জাজিরা, বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কয়েকজন শীর্ষ সাংবাদিককে অনুরোধ করেছিলাম, যদি কিছু ঘটে, তারা যেন আমার হয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।”