দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে। বৃহস্পতিবার সকালে এক ফেসবুক বার্তায় কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন ঘোষণা দিয়েছেন—এই মুহূর্তে থাইল্যান্ডের সঙ্গে যুদ্ধ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। এর আগে সকালে থাই সেনাবাহিনীর অভিযানে সীমান্ত এলাকায় কম্বোডিয়ার সেনাদের ওপর বিমান হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
হুন সেন বলেন, থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে আগ্রাসন চালিয়েছে। তিনি জানান, গতকালই থাই সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড থেকে এ হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আজ সকালের বিমান হামলার মধ্য দিয়ে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটেছে। তা মোয়ান থম মন্দিরের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে থাইল্যান্ড একতরফা দখল কায়েম করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের এই আগ্রাসনের জবাবে কম্বোডিয়ার সামনে একমাত্র পথ যুদ্ধ। একই সঙ্গে জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন—চাল, খাবার বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানে ভিড় করবেন না, আতঙ্কে পণ্য মজুত বা অতিমূল্যে বিক্রয় করবেন না।
হুন সেন ১৯৮৫ সালে প্রথমবার কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন। পরবর্তী সময়ে টানা ২৫ বছর দেশটি শাসন করেছেন। বর্তমানে তিনি সিনেটের প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের বাবা।
সীমান্ত উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পান্না ত্রিভুজ নামের একটি এলাকা, যাকে ‘এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল’ বলা হয়। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং লাওসের মিলিত সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলটি বহু পুরনো এক বিরোধের কেন্দ্র। ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসনকাল থেকেই (১৯০৭ সালের মানচিত্র অনুযায়ী) অঞ্চলটি কম্বোডিয়ার অন্তর্ভুক্ত হিসেবে দেখানো হয়, কিন্তু থাইল্যান্ড বরাবরই এই দাবির বিরোধিতা করে আসছে।