ঢাকা ০৮:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট করল স্পেন, ইতালি ও জার্মানি: ইউরোপেও জেগে উঠছে ফিলিস্তিনপন্থী সুর

গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় এবং ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবার সরব হলো ইউরোপের তিন প্রভাবশালী দেশ—স্পেন, ইতালি এবং জার্মানি। এতদিন মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ ও পশ্চিমা বিশ্বের সাধারণ মানুষ যেখানে বিক্ষোভে সরব ছিল, এবার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইউরোপের নেতৃত্বে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান

টাইমস অফ ইসরায়েল-এর বরাত দিয়ে জানা গেছে, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানসেজ পার্লামেন্টে দেয়া এক ভাষণে ইসরায়েলকে সরাসরি ‘গণহত্যাকারী রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “মাদ্রিদ এমন কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না, যারা মানবতা লঙ্ঘন করে।” এর আগে স্পেন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং সম্প্রতি তেলআবিব থেকে একটি অস্ত্র চুক্তিও বাতিল করেছে

অন্যদিকে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি গাজার পরিস্থিতিকে “অগ্রহণযোগ্য” বলে মন্তব্য করেন। সাধারণত ইসরায়েলপন্থী হিসেবে পরিচিত তার সরকার এবার যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা ও সীমান্ত অবরোধ ইস্যুতে সরাসরি ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করেছে। মেলোনি বলেন, “উপত্যকায় খাদ্য সংকট থেকে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা এখন বাস্তব।”

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মার্জ এক বিবৃতিতে বলেন, “গাজায় দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে সবাইকে এখনই এগিয়ে আসতে হবে।” তিনি শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের রক্ষায় মানবিক সহায়তা আরও জোরদারের আহ্বান জানান। যদিও ইতিহাসগত কারণে বার্লিন ইসরায়েলের বিষয়ে কিছুটা সংযত, তবুও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বার্লিন সফরের আমন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে, যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

এই অবস্থায়, ইসরায়েল সরকার যেখানে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা অস্বীকার করছে, সেখানে আইডিএফ-এরই এক অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সীমান্ত অবরোধ না তুললে গাজায় পরিস্থিতি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

পদত্যাগের চিন্তায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, দেখা করলেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট করল স্পেন, ইতালি ও জার্মানি: ইউরোপেও জেগে উঠছে ফিলিস্তিনপন্থী সুর

আপডেট সময় ১১:৪২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় এবং ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবার সরব হলো ইউরোপের তিন প্রভাবশালী দেশ—স্পেন, ইতালি এবং জার্মানি। এতদিন মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ ও পশ্চিমা বিশ্বের সাধারণ মানুষ যেখানে বিক্ষোভে সরব ছিল, এবার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইউরোপের নেতৃত্বে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান

টাইমস অফ ইসরায়েল-এর বরাত দিয়ে জানা গেছে, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানসেজ পার্লামেন্টে দেয়া এক ভাষণে ইসরায়েলকে সরাসরি ‘গণহত্যাকারী রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “মাদ্রিদ এমন কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না, যারা মানবতা লঙ্ঘন করে।” এর আগে স্পেন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং সম্প্রতি তেলআবিব থেকে একটি অস্ত্র চুক্তিও বাতিল করেছে

অন্যদিকে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি গাজার পরিস্থিতিকে “অগ্রহণযোগ্য” বলে মন্তব্য করেন। সাধারণত ইসরায়েলপন্থী হিসেবে পরিচিত তার সরকার এবার যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা ও সীমান্ত অবরোধ ইস্যুতে সরাসরি ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করেছে। মেলোনি বলেন, “উপত্যকায় খাদ্য সংকট থেকে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা এখন বাস্তব।”

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মার্জ এক বিবৃতিতে বলেন, “গাজায় দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে সবাইকে এখনই এগিয়ে আসতে হবে।” তিনি শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের রক্ষায় মানবিক সহায়তা আরও জোরদারের আহ্বান জানান। যদিও ইতিহাসগত কারণে বার্লিন ইসরায়েলের বিষয়ে কিছুটা সংযত, তবুও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বার্লিন সফরের আমন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে, যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

এই অবস্থায়, ইসরায়েল সরকার যেখানে দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা অস্বীকার করছে, সেখানে আইডিএফ-এরই এক অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সীমান্ত অবরোধ না তুললে গাজায় পরিস্থিতি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।”