ঢাকা ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় প্রতি চার মিনিটে একটি বোমা! হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৫৭:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • ৫১৬ বার পড়া হয়েছে

এবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ‘অপারেশন গিডিয়ানস চ্যারিয়ট’ নামে চালু হওয়া নতুন অভিযানে প্রতি চার মিনিটে একটি করে বোমা ফেলা হচ্ছে। লক্ষ্যস্থল শুধু হামাসের ঘাঁটি নয়,হাসপাতাল, আশ্রয় শিবির, এমনকি সাধারণ জনবসতিও রেহাই পাচ্ছে না। একের পর এক হামলায় বিধ্বস্ত বেতলাহিয়া, জাবালিয়া ও আশপাশের শিবিরগুলো।

এদিকে ট্যাংক বহর নিয়ে জাবালিয়ার পথে পথে ঘুরছে ইসরাইলি বাহিনী। আগের চেয়েও আরও বর্বর এবং উদ্ধত ভঙ্গিতে চলছে তাদের অভিযান। নতুন নতুন এলাকাকে টার্গেট করে পদাতিক সেনারা চালিয়ে যাচ্ছে অভিযান, পাশাপাশি চলছে বিমান হামলাও। এই নৃশংসতার সব সীমা লঙ্ঘন করেও থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং ‘অপারেশন গিডিয়ানস চ্যারিয়ট’-এর মাধ্যমে ইসরায়েল শুরু করেছে বর্বরতার নতুন ধাপ। নামানো হয়েছে হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা।

গত ৪ মে নতুন এই অভিযানের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছিল ইসরাইলের মন্ত্রিসভা। প্রাচীন ইহুদি যোদ্ধা গিডিয়ানের নাম অনুসারে রাখা হয়েছে মিশনের নাম। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই দখল অভিযান বাস্তবায়ন হচ্ছে তিনটি ধাপে। প্রথম ধাপে রয়েছে ‘পপুলেশন মবিলাইজেশন’। সে লক্ষ্যে উত্তর গাজায় চলছে উচ্ছেদ কার্যক্রম। সংঘাতকবলিত এলাকা ঘোষণা করে বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

এদিকে হামাসের আস্তানা ধ্বংসের অজুহাতে একের পর এক জনবহুল এলাকা টার্গেট করছে আইডিএফ। তারা জানিয়েছে, শুক্রবার হামাসের দেড় শতাধিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। সেইসঙ্গে জানা গেছে, বেতলাহিয়া ও জাবালিয়ার আশ্রয় শিবিরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতি চার মিনিটে একটি করে বোমা ফেলা হয়েছে।

এই দমনমূলক অভিযানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিও। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গাজায় ইসরায়েলের দখলদার কার্যক্রম নতুন মাত্রা পায়। দেশে ফিরে মার্কিন প্রেসিডেন্টও পুনরায় গাজা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “মুক্ত অঞ্চল হওয়া উচিত গাজায়।” গাজায় চলমান এই মানবিক বিপর্যয় বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিচ্ছে কিনা, সেই প্রশ্ন এখন সবচেয়ে বড়। প্রতিটি বোমার শব্দের নিচে চাপা পড়ছে হাজারো জীবনের আর্তনাদ, অথচ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো কার্যকর কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাতে ব্যর্থ। গাজা রক্তাক্ত, গাজা বিদ্ধস্ত আর এই ট্র্যাজেডির যেন শেষ নেই।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সিইসিকে চিঠি, নাগরিক ভোগান্তি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

গাজায় প্রতি চার মিনিটে একটি বোমা! হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল

আপডেট সময় ১১:৫৭:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

এবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ‘অপারেশন গিডিয়ানস চ্যারিয়ট’ নামে চালু হওয়া নতুন অভিযানে প্রতি চার মিনিটে একটি করে বোমা ফেলা হচ্ছে। লক্ষ্যস্থল শুধু হামাসের ঘাঁটি নয়,হাসপাতাল, আশ্রয় শিবির, এমনকি সাধারণ জনবসতিও রেহাই পাচ্ছে না। একের পর এক হামলায় বিধ্বস্ত বেতলাহিয়া, জাবালিয়া ও আশপাশের শিবিরগুলো।

এদিকে ট্যাংক বহর নিয়ে জাবালিয়ার পথে পথে ঘুরছে ইসরাইলি বাহিনী। আগের চেয়েও আরও বর্বর এবং উদ্ধত ভঙ্গিতে চলছে তাদের অভিযান। নতুন নতুন এলাকাকে টার্গেট করে পদাতিক সেনারা চালিয়ে যাচ্ছে অভিযান, পাশাপাশি চলছে বিমান হামলাও। এই নৃশংসতার সব সীমা লঙ্ঘন করেও থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং ‘অপারেশন গিডিয়ানস চ্যারিয়ট’-এর মাধ্যমে ইসরায়েল শুরু করেছে বর্বরতার নতুন ধাপ। নামানো হয়েছে হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা।

গত ৪ মে নতুন এই অভিযানের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছিল ইসরাইলের মন্ত্রিসভা। প্রাচীন ইহুদি যোদ্ধা গিডিয়ানের নাম অনুসারে রাখা হয়েছে মিশনের নাম। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই দখল অভিযান বাস্তবায়ন হচ্ছে তিনটি ধাপে। প্রথম ধাপে রয়েছে ‘পপুলেশন মবিলাইজেশন’। সে লক্ষ্যে উত্তর গাজায় চলছে উচ্ছেদ কার্যক্রম। সংঘাতকবলিত এলাকা ঘোষণা করে বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

এদিকে হামাসের আস্তানা ধ্বংসের অজুহাতে একের পর এক জনবহুল এলাকা টার্গেট করছে আইডিএফ। তারা জানিয়েছে, শুক্রবার হামাসের দেড় শতাধিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। সেইসঙ্গে জানা গেছে, বেতলাহিয়া ও জাবালিয়ার আশ্রয় শিবিরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতি চার মিনিটে একটি করে বোমা ফেলা হয়েছে।

এই দমনমূলক অভিযানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিও। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গাজায় ইসরায়েলের দখলদার কার্যক্রম নতুন মাত্রা পায়। দেশে ফিরে মার্কিন প্রেসিডেন্টও পুনরায় গাজা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “মুক্ত অঞ্চল হওয়া উচিত গাজায়।” গাজায় চলমান এই মানবিক বিপর্যয় বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিচ্ছে কিনা, সেই প্রশ্ন এখন সবচেয়ে বড়। প্রতিটি বোমার শব্দের নিচে চাপা পড়ছে হাজারো জীবনের আর্তনাদ, অথচ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো কার্যকর কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাতে ব্যর্থ। গাজা রক্তাক্ত, গাজা বিদ্ধস্ত আর এই ট্র্যাজেডির যেন শেষ নেই।