ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষুধায় ৩২৬ মৃত্যু, গাজায় আরও বহুগুণ প্রাণহানির ভয়াবহ তথ্য দিলো জাতিসংঘ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • ৫৯২ বার পড়া হয়েছে

এবার গাজা উপত্যকায় গত ২ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত অনাহারে কমপক্ষে ৩২৬ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে অঞ্চলটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশু মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার (২১ মে) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে ইসরায়েল সীমিত মানবিক সহায়তা পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়ার একদিন পর গাজায় কোনও সাহায্য বিতরণ করা হয়নি।

এদিকে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে। ইইউ জানিয়েছে যে তারা গাজার “বিপর্যয়কর” পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের সাথে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণকারী একটি চুক্তি পর্যালোচনা করবে।

জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সতর্ক করে বলেছেন, অবরুদ্ধ অঞ্চলে প্রায় তিন মাস ধরে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে হাজার হাজার শিশু আসন্ন মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে, যা ছড়িয়ে দিয়েছে দুর্ভিক্ষ।

২ মার্চ থেকে ইসরায়েল সমস্ত খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী সাহায্য গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়েছে। সোমবার থেকে প্রথমবারের মতো অল্প পরিমাণে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলেও তা তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হয়নি।

মঙ্গলবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় মানবিক ফোরামে ভাষণ দিতে গিয়ে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেন, গাজায় যে ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে তা বর্ণনা করার জন্য শব্দ ফুরিয়ে গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষুধায় ৩২৬ মৃত্যু, গাজায় আরও বহুগুণ প্রাণহানির ভয়াবহ তথ্য দিলো জাতিসংঘ

আপডেট সময় ১১:৫৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

এবার গাজা উপত্যকায় গত ২ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত অনাহারে কমপক্ষে ৩২৬ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে অঞ্চলটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশু মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার (২১ মে) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে ইসরায়েল সীমিত মানবিক সহায়তা পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়ার একদিন পর গাজায় কোনও সাহায্য বিতরণ করা হয়নি।

এদিকে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে। ইইউ জানিয়েছে যে তারা গাজার “বিপর্যয়কর” পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের সাথে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণকারী একটি চুক্তি পর্যালোচনা করবে।

জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সতর্ক করে বলেছেন, অবরুদ্ধ অঞ্চলে প্রায় তিন মাস ধরে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে হাজার হাজার শিশু আসন্ন মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে, যা ছড়িয়ে দিয়েছে দুর্ভিক্ষ।

২ মার্চ থেকে ইসরায়েল সমস্ত খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী সাহায্য গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়েছে। সোমবার থেকে প্রথমবারের মতো অল্প পরিমাণে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলেও তা তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হয়নি।

মঙ্গলবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় মানবিক ফোরামে ভাষণ দিতে গিয়ে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেন, গাজায় যে ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে তা বর্ণনা করার জন্য শব্দ ফুরিয়ে গেছে।