ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোট চুরির অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করলেন বাদী

২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘ভোট চুরি’ এবং ‘ডামি নির্বাচন’ আয়োজনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি বাদী নিজেই প্রত্যাহার করেছেন। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির নেতা কামরুল হাসান বুধবার (২১ মে) মামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেন।

কামরুল হাসান অলোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং ভূঞাপুর উপজেলার ভারই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মামলার পরপরই পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন এবং ‘নানামুখী চাপের’ কারণেই মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু রায়হান খান বলেন, “সোমবার মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল এবং আদালত ভূঞাপুর থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ বাদী আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন ও জবানবন্দি দিয়েছেন। বিচারক রুমেলিয়া সিরাজাম তা গ্রহণ করেছেন এবং আগামী ১৩ আগস্ট পরবর্তী আদেশের তারিখ ধার্য করেছেন।”

মামলার বাদী কামরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, মামলার পরদিন ঢাকার উত্তরায় দলের এক নেতার বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।

প্রসঙ্গত, মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়া আসামিদের তালিকায় ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল, নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা, পুলিশ-প্রশাসনের সদস্য, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, পাঁচজন সাংবাদিক এবং একজন আইনজীবী। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইশরাক হোসেনের মেয়র পদে শপথ হবে কি না, রায় আজ—হাইকোর্টে উত্তেজনার শেষ নেই

ভোট চুরির অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করলেন বাদী

আপডেট সময় ১১:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘ভোট চুরি’ এবং ‘ডামি নির্বাচন’ আয়োজনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি বাদী নিজেই প্রত্যাহার করেছেন। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির নেতা কামরুল হাসান বুধবার (২১ মে) মামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেন।

কামরুল হাসান অলোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং ভূঞাপুর উপজেলার ভারই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মামলার পরপরই পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন এবং ‘নানামুখী চাপের’ কারণেই মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু রায়হান খান বলেন, “সোমবার মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল এবং আদালত ভূঞাপুর থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ বাদী আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন ও জবানবন্দি দিয়েছেন। বিচারক রুমেলিয়া সিরাজাম তা গ্রহণ করেছেন এবং আগামী ১৩ আগস্ট পরবর্তী আদেশের তারিখ ধার্য করেছেন।”

মামলার বাদী কামরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, মামলার পরদিন ঢাকার উত্তরায় দলের এক নেতার বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।

প্রসঙ্গত, মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়া আসামিদের তালিকায় ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল, নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা, পুলিশ-প্রশাসনের সদস্য, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, পাঁচজন সাংবাদিক এবং একজন আইনজীবী। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছিল।