যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও গুঞ্জনকে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে দাবি করেছেন। শনিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, বিভ্রান্তিকর পারসেপশন তৈরির একটি পরিকল্পিত চেষ্টা চলছে।
পোস্টে আসিফ মাহমুদ উল্লেখ করেন, তার সাবেক এপিএস সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হলে তিনি নিজেই দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বিষয়টি অনুসন্ধানের অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের তদন্তে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “কেউ যদি দুর্নীতিতে জড়ায়, সে যে-ই হোক, রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারি আমাদের নতুন বাংলাদেশের পথে এগিয়ে চলার প্রমাণ দেবে। শুরু থেকেই আমাকে রাজনৈতিকভাবে জড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে, তবে আমি সত্য ও নৈতিক সাহসে বিশ্বাস করি।”
আশাবাদ ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, “দুদক নিরপেক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে তদন্ত পরিচালনা করবে এবং সত্য উদঘাটিত হবে। আমরা এমন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই, যা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে—সততা, জবাবদিহিতা ও সুশাসনের ভিত্তিতে।”