ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একনেক সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক: নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভা শেষে শনিবার (২৪ মে) বিকেলে এক অনির্ধারিত বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি মূল দায়িত্ব—নির্বাচন, সংস্কার এবং বিচার—নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় সরকারের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক দাবি, এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মসূচি গ্রহণ করে কাজের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করা হচ্ছে। এতে জনমনে বিভ্রান্তি, সন্দেহ ও সংশয় তৈরি হচ্ছে বলে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

উপদেষ্টা পরিষদ মনে করে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, কার্যকর বিচার ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নিশ্চিত করতে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি। সেই লক্ষ্যেই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করবে। সরকার গোষ্ঠীস্বার্থ উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালনে অটল রয়েছে। তবে যদি কোনো পরাজিত শক্তি বা বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারের কাজকে অকার্যকর করে তোলার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সরকার জনগণের সামনে সব কারণ তুলে ধরে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে লিখিত দাবি বিএনপির

একনেক সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক: নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা

আপডেট সময় ০৬:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভা শেষে শনিবার (২৪ মে) বিকেলে এক অনির্ধারিত বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি মূল দায়িত্ব—নির্বাচন, সংস্কার এবং বিচার—নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় সরকারের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক দাবি, এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মসূচি গ্রহণ করে কাজের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করা হচ্ছে। এতে জনমনে বিভ্রান্তি, সন্দেহ ও সংশয় তৈরি হচ্ছে বলে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

উপদেষ্টা পরিষদ মনে করে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, কার্যকর বিচার ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নিশ্চিত করতে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি। সেই লক্ষ্যেই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করবে। সরকার গোষ্ঠীস্বার্থ উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালনে অটল রয়েছে। তবে যদি কোনো পরাজিত শক্তি বা বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারের কাজকে অকার্যকর করে তোলার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সরকার জনগণের সামনে সব কারণ তুলে ধরে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।